ইস্ট ওয়েস্টে তৃতীয় নেহরীন খান স্মৃতি বক্তৃতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্ববিদ্যালয় হবে এমন একটি কেন্দ্র যা হবে সত্যের সন্ধান, জ্ঞানের র্চচা, নতুন উদ্ভাবন, চিন্তার সম্প্রসারন, এবং নৈতিক মূল্যবোধ্যের চালক। সেখানকার শিক্ষার্থীরা হবে পূর্ণাঙ্গ নাগরিক, স্বয়ং সম্পূর্ণ পেশাজীবী এবং পরিপূর্ণ মানবিক মানুষ। তাঁরা প্রতিটি বিষয় চিন্তা করে, বিশ্লেষণ করে এর ভালো মন্দ বের করে সূদুর প্রসারি দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগিয়ে তা মানুষের বৃহত্তর কল্যানে কাজে লাগাবে।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারনা’ নিয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই ২০১৯) বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় নেহরীন খান স্মৃতি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

Post MIddle

তাঁর বক্তব্যের সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকার প্রস্ঙ্গও উঠে আসে। গবেষকদের উপাত্ত থেকে অধ্যাপক ফকরুল আলম বলেন, মূলত তিনটি কারনে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান পড়ে গেছে। প্রথমত স্বাধীনস্বত্তা থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের চরিত্র ধারন করায়। এরপর গবেষণাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু ক্লাস নির্ভর শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া। আর নতুন উদ্ভাবনার চেয়ে বাজারের চাহিদাকে গুরুত্ব দেয়ায়।

তত্বাবধায়ক সাবেক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের প্রয়াত কন্যা এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির সাবেক শিক্ষার্থী নেহরীন খানের স্মরণে এ বক্তৃতা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। তিনি চেকটি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির ইংরেজি বিভাগের ‘নেহরীন খান স্কলারশীপ’ ফান্ডে দান করেন।

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ এ জেড এম শফিকুল আলম এবং প্রয়াত নেহরীন খানের সহপাঠি আফসানা বেগম। অনুষ্ঠানে ড. আকবর আলি খান সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট