বাকৃবিতে কৃষকদের মাঝে কাসাভার বীজ বিতরণ

মো. আশিকুজ্জামান,বাকৃবি প্রতিনিধি।

ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে কাসাভার বীজ বিতরণ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে কাসাভার বীজ বিতরণ করা হয়।বীজ বিতরণের সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শাহানারা বেগম ও অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আজাদ-উদ-দৌলা প্রধানসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকবৃন্দ।

এসময় প্রদর্শনীতে কৃষকদের মাঝে অধ্যাপক ছোলায়মান কাসাভার বিভিন্ন উপকার, খাবার পদ্ধতি, বাণিজ্যিক ব্যবহার, চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির কৃষকদের মাঝে বলেন, দেশের খরাসহিঞ্চু অঞ্চলে ও কম উর্বরতা সম্পন্ন মাটিতে কাসাভা হেক্টরপ্রতি ফলন দেয় গড়ে ৩৫ থেকে ৫০ টন।

Post MIddle

এছাড়া পাহাড়ের ঢাল, উঁচু জমি, ক্ষেতের আইল এমনকি পতিত জমিতেও কাসাভা ভালো ফলন পাওয়া যায়। শিমুল আলু বা কাসাভা চাষে ধানের মতো  জলাবদ্ধতা পরিবেশের প্রয়োজন হয় না। তাই কাসাভা চাষে কৃষকের সেচের খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া কাসাভা গাছে তেমন কোনো রোগবালাইও হয় না।

কাসাভার বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ছোলায়মান আলী ইউএনবিকে বলেন, গার্মেন্টস শিল্প, কাগজ শিল্প, ঔষধ শিল্প, বেকারী শিল্প, টেস্টিং সল্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে।

এছাড়া কাসাভা থেকে আটা তৈরি করা যায়। এমনকি কাসাভা পশুখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।কাসাভার বীজ পাওয়া ময়মনসিংহের চকছত্রপুর এলাকার এক কৃষক রিয়াদ হোসেন বলেন, আজকের এই প্রদর্শনী থেকে কাসাভা ও এর বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কাসাভার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে না জানায় চাষাবাদে আগ্রহী ছিলাম না। এখন নিজেও চাষাবাদ করবো এবং অন্য কৃষককেও জানাবো।

পছন্দের আরো পোস্ট