অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের বিকেন্দ্রিকরণ, শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসন ও সার্বিক শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে গতকাল ২৮ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অফিস সংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আজিজ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাত কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সকল শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়েছে তাদের বিষয় বিবেচনায় রেখে সভায় সাত কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় ঃ

শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রমের যে কোন সমস্যা স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষগণের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে নিস্পত্তি হবে। অধ্যক্ষগণ শিক্ষার্থীদের যে কোন আবেদনের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত যাচাই করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ডেস্কে (ডেডিকেটেড ডেস্ক) প্রেরণ করবেন। পরীক্ষা/ ভর্তি/ ফলাফল/ রেজিস্ট্রেশন প্রভৃতি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব কলেজর অধ্যক্ষ/কলেজ অফিস থেকে জানতে পারবে।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অধ্যক্ষ/কলেজ অফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজের ডেডিকেটেড ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করবেন। কোন শিক্ষার্থীর কোন তথ্যের জন্যে/দরখাস্ত দেয়ার জন্য সময় ও শ্রম নষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অফিসে আসতে হবে না।

Post MIddle

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সকল শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়েছে তাদের ভোগান্তি লাঘব ও সেশনজট নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

নম্বর স্থগিত ও সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে পরবর্তী শ্রেণিতে (প্রিলিমিনারি/ মাস্টার্স শেষপর্ব) ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে তবে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের পূর্বে পূর্ববর্তী শ্রেণির অকৃতকার্য বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকেও বিশেষ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।

পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রকাশের সুবিধার্থে অন্যান্য অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকগণ উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে নম্বর পরীক্ষা কমিটির সভাপতি/ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নিকট জমা দিবেন। উত্তরপত্র স্ব-স্ব কলেজে নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।

একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের লক্ষ্যে সাত কলেজের অধ্যক্ষগনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করতে কমিটিকে অনুরোধ জানানো হয়।

মৌখিক পরীক্ষা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রতি কলেজের জন্য একটি করে ভাইভা-বোর্ড গঠন করা হবে। একইভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষাও বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে গৃহীত হবে।

আগামী এক বছরের মধ্যে পরীক্ষকগণ/বিভাগীয় প্রধান সকল পরীক্ষার নম্বর অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করবেন। অত:পর উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ঙগজ পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট