ফ্লোরিডার বার্নাট পার্কে পিঠা উৎসবের কথা

ওলো সই আয়রে তোরা আয়। পিঠা মেলায় যাই। নানরকম পিঠা খাইয়ে তোদের প্রাণ জুড়াই। মজার মজার পিঠা খেলে এমন ছড়া কার না আসে ভাই! বলছি ফ্লোরিডার বার্নাট পার্কে আয়োজিত ২০১৮ সালের পিঠা উৎসবের কথা। বাংলাদেশ আমেরিকান ফাউন্ডেশন অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার আয়োজনে আয়োজিত সারাদিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠানে নেমেছে পিঠাপ্রেমী বাঙালির ঢল।।

পিঠা উৎসবযে যার মতো করে আটা, ময়দা শষ্যজাত গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে এনেছে বৈচিত্রময় সব পিঠা। কোন পিঠা নেই সেখানে! পুলিপিঠা, পাকন পিঠা, তুলতুলে পাটিসাপটা, মুগপাকন, শামুক পিঠা, চিতই পিঠা, বেনী পিঠে, গোকুল পিঠা, গোলাপ পিঠা, বিবিখানা পিঠা, ঝালপিঠা, চন্দ্রাপিঠা, ভাপা পিঠা, পেয়াজু, চইপিঠে সহ আরো কত সব পিঠার বহর।

পিঠা উৎসববহর আনলেই কি আর হয়? ওতে শিল্প নামের শাখা আছে। আর তাতে জিতলে দৃষ্টিনন্দন সব পুরুষ্কার। আর এসব জিততে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো কতটা তা পিঠার শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের প্রতিকী ভাষণ জানে, পিঠার তৈরী স্মৃতিসৌধ জানে, পিঠার তৈরী লাল টুকটুক পালকি জানে, জানে পিঠার তৈরী ফুলের ঝুরিসহ প্রতিয়োগি আরো সব পিঠা!

Post MIddle

দিনশেষে পিঠা দিয়ে উদরপূর্তি শেষে পুরুষ্কারটা পাওয়া পিঠাপ্রিয় বাঙালির একমাত্র উদ্দেশ্য নয় মূলত যোগদান করাটাই আনন্দের তা পুরুষ্কৃত হওয়া মুখদের করজোড়ে অভিনন্দন করা দেখেই বেশ বোঝা যাচ্ছিল।

পিঠা উৎসবনাহ, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের নতুন ধানের ঘ্রাণ এই শহরে নেই। আছে যা তা হলো ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। ঐতিহ্য ধরে রাখার আন্তরিক আয়োজন। কী নেই সে চেষ্টায়? কানে ভেসে আসা গানের সুরই বলে, আছি আমিও। ক্ষণে ক্ষণে কান ভেসে যায় গানে। ভাঁপা পিঠা রে, তোরে খাইতে গিয়া আহ আমার মুখটা জ্বইলা গেছে রে।।

এই জ্বলনেও যে সুখ আছে তা আর বলতে হবে কি!

জাহান রিমা।প্যারাডাইজ ডেন্টাল।ফ্লোরিডা

পছন্দের আরো পোস্ট