অভিসার

এলিজাবেথকে সাথে নিয়ে আমিও ফেরারি হয়েছিলাম একদিন,
ছেলে দেখাদেখি চলছে ক’মাস থেকে।
হঠাৎ একদিন এলিজা এসে বলল ‘ছেলের আমাকে পছন্দ, এমাসের ১৬ তারিখে…..’
আমি জানি আকাশ কখনো ভেঙে পড়ে না;
আমার মাথায়ও আকাশ পড়েনি- তবুও অনুভব করেছিলাম প্রচণ্ড রকম মাথার যন্ত্রণা।
ওর হরিণ চোখে জলের ধারায় আমারও জল নেমেছিল সমানে,
ভাল যে বাসি তার মাত্রা বুঝেছিলাম বিয়ের খবরে!
অবশেষে আমরা ফেরারি হয়েছিলাম একদিন,
শিশিরজলে নেয়ে হেটে চলেছিলাম এলিজাকে নিয়ে।
আমি নিজেকে কখনোই অসম্মানের কাতারে দেখতে চাইনি,
Post MIddle
আমার ভালবাসায় অসম্মানের বিন্দুচিহ্নও ছিলনা, জানো?
এলিজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম, ওর বাবার কাছে-
চোখে চোখ রেখে বলেছিলাম “ভালবাসি”
আমার কাছে ও ভাল থাকবে আজীবন।
জাদরেল দেহি বাবা এলিজার কান্না ভেজা চোখের দিকে কতক্ষণ তাকিয়েছিল আমার মনে নেই,
আমার দিকে নির্বাক চেয়েছিল মিনিট দুয়েক।
অাজ আমাদের ১৬তম বিবাহ বার্ষিকী!
সেদিন ভদ্রলোকের সামনে দাড়াবার সাহসটুকু পেয়েছিলাম
এলিজার ভালবাসা থেকে!
এখনো এতটুকু কমেনি, বরং বেড়েছে শতগুণে।

 

 

রায়হান মুশফিক,অর্থনীতি বিভাগ,সরকারি বি এল কলেজ, খুলনা।
পছন্দের আরো পোস্ট