জাবিতে বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে নবীন বরণ ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়।

Post MIddle

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের কৃতী সন্তান ও দেশ বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আবুল বাসার সেরনীয়াবাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আমরা বরিশালবাসী, আমাদের অস্তিত্ব সর্বত্র, সর্বদা। ৫২, ৬৯, ৭১সহ দেশ গঠন ও স্বাধিকার আন্দোলনে বরিশাল বাসীর অবদান চিরস্মরণীয়। ভাষা, সাহিত্য আর জ্ঞান চর্চায়ও রয়েছে উজ্জল আদর্শ।

কবি তার বক্তব্যে শেরে বাঙলা এ কে ফজলুল হক, কুসুম কুমারী দাস, জীবনান্দ দাস, আরজ আলী মাতুব্বর, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরসহ অনেকের স্বপ্ন ও ইচ্ছার কথা তুলে ধরে দেশ ও জাতীর কল্যণে অবদান রাখার কথা বলেছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি আবুল বাসার সেরনীয়াবাদ বলেন, বরিশাল বিভাগের প্রতিটি মানুষ একটি বিশেষ গুণের অধিকারী। আর একারণেই তাদের আন্তরিক মিল তথা একতা সবার চোখে পড়ার মত।

তিনি আরও বলেন, আমরা আজ কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই, আমরা সচেতন থাকলে এ অগ্রগতি অব্যহত থাকবে। অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম তার বক্তব্যে বলেন, সমাজ সেবা, জ্ঞান চর্চা, রাজনীতি সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বরিশাল অঞ্চলের মানুষ। তিনি আরও বলেন বরিশালের প্রতিটি মানুষ ,প্রতিটি শিক্ষার্থী আত্ম শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জল করবে।

সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মামুনুর রশিদ (৩৮ তম আবর্তন), মুহাম্মদ মূসা (৪৩ তম আবর্তন) এবং রাকিবুল ইসলাম (৪৪তম আবর্তন)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নাজমুল হাসান অভি (৪২তম আবর্তন) এবং সহযোগী সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন উম্মে মাহবুবা তমা (৪৪তম আবর্তন) ও অরিত্র চন্দ্র দাস (৪৪ তম আবর্তন)। কোরান তেলাওয়াতের পর ইমরান ফয়সালের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে অনুষ্ঠানে ছিল নবীনদের বরণ করে নেয়া, গুনীজনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান, নবীন শিক্ষার্থীদের অনুভূতি প্রকাশ প্রভৃতি। নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন রিহান ও আফসানা ।#

পছন্দের আরো পোস্ট