চুয়েটে নতুন ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরু

2চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ব্যয়ে নতুন ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) শুরু হয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট এই ছাত্রী হল নির্মাণে অর্থায়ন করছে এ.কে. খান ফাউন্ডেশন (AKKF)। এতে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রীর আবাসন সুবিধা থাকবে। সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন নতুন এই হলের নামকরণ করা হয়েছে ‘বেগম শামসুন নাহার খান হল’।

 

নতুন ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, এ. কে. খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি এবং এ. কে খান গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব সালাহ উদ্দীন কাশেম খান, ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং এ. কে. খান গ্রুপের চেয়ারম্যান মিসেস জেবুন নাহার ইসলাম, ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং এ. কে খান গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব এ. এম. জিয়াউদ্দিন খান।

 

এ সময় চুয়েটের ডীনগণ, বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালকগণ, প্রভোস্টগণসহ দায়িত্বশীল অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং এ. কে. খান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম লতিফা সিদ্দিকী, এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার ইয়াসমিন খান কবিরসহ এ. কে. খান গ্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চুয়েটের ইতিহাসে আজ একটি স্মরণীয় দিন। আবাসন সংকটের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী ছাত্রীকে শহর থেকে নিত্য যাতায়াতে দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। এমন অবস্থা দেখে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্বনামধন্য এ. কে. খান ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নতুন ছাত্রী হল। আমরা এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের এই অন্যন্য অবদান কখনো ভুলব না। চুয়েট পরিবারের সদস্য ও আমাদের শুভাকাঙ্খীরা আজ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত।

 

Post MIddle

2প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, এ.কে. খান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের গর্ব, সারাদেশের জন্য একটি প্রেস্টিজিয়াস নাম। শিক্ষাখাতের উন্নয়নে এ ফাউন্ডেশন যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। চুয়েটের মেধাবী ছাত্রীদের জন্য হল নির্মাণের মাধ্যমে এ. কে. খান ফাউন্ডেশন নিজেদের গৌরবময় অবদানকে আবারো তুলে ধরল।
.

 

কে. খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি এবং এ. কে খান গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব সালাহ উদ্দীন কাশেম খান বলেন, দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা-গবেষণায় চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান চুয়েট অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠান আইটি সেক্টরের নানা উদ্যোগের কথা শুনে আমি আনন্দিত। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির মত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগেও একটি ‘কর্ণফুলী ভ্যালি’ রচিত হতে পারে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের জন্য হল নির্মাণ করা আমাদের জন্যও আনন্দদায়ক।

 

ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং এ. কে. খান গ্রুপের চেয়ারম্যান মিসেস জেবুন নাহার ইসলাম বলেন, চুয়েটের ছাত্রীরা অত্যন্ত মেধাবী। এই ছাত্রীদের জন্য আমার প্রিয় মায়ের নামে হল নির্মাণে আমরা সম্পৃক্ত হতে পেরে আনন্দিত।
ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং এ. কে খান গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব এ. এম. জিয়াউদ্দিন খান বলেন, চুয়েটে আমরা খুব সুন্দর একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সকণের জন্য আনন্দদায়ক ও মঙ্গলজনক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ##

 

লেখাপড়া২৪.কম/এমএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট