রাবিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম প্রয়াণ দিবস পালিত

রাবি প্রতিনিধি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ূমের প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে

সকাল ১০:১৫ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলামসহ মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এরপর সকাল ১০:৩০ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ইমেরিটাস ড. অরুণ কুমার বসাক মূল আলোচক হিসেবে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমের জীবন ও কর্মের উপর বক্তৃতা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মাওলানা মো. শাহাদুল ইসলাম শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সাবিনা সুলতানা।

Post MIddle

শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমের বড় কন্যা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. তাসকিনা ফারুক, অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান খান স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে ম্যাজিক লন্ঠন ভিজ্যুয়ালস কর্তৃক শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমের উপর নির্মিত একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

স্মরণসভাটি সঞ্চালনা করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা সরকার নিরা, ফাহমিদা আক্তার রুম্পা ও উম্মে হাবীবা অনন্যা।

প্রসঙ্গত, রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন শিক্ষক অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ূম ১৯৩৯ সালের ৬ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৬ সালে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাত ৮টায় তাঁকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পদ্মাপাড়ের বাবলা বনে অন্য ১৩জন শহীদের সাথে তাঁকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়।

পরে ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সেখান থেকে অন্যান্য শহীদদের সঙ্গে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে গবেষণা করতেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ ও ঔষধপত্র সরবরাহ করতেন। সম্ভবত একারণেই শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করেন।

উল্লেখ্য আজ বিকাল ৪টায় শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ডরমিটরিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আরেকটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যদ্বয়। সেখানে পিতৃস্মৃতি তুলে ধরবেন শহীদকন্যা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মাহবুবা কানিজ কেয়া।

পছন্দের আরো পোস্ট