জাবিতে করোনার টিকা কেন্দ্র উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলসমূহ আজ খুলে দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের জন্য করোনার টিকা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

সকাল দশটায় টিকা কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনলাইনে যুক্ত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়া সহজলভ্যতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতি উপাচার্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং অন্যান্য সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে মহামারি করোনা মোকাবেলায় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী ¯্রিেবনা ফ্লোরা টিকা কার্যক্রম শুরু করার প্রাক্কালে বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। মহামারি করোনা মোকাবলোয় সকল জনসাধারণকে টিকার আওতায় নিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাদের প্রত্যেককে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Post MIddle

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদেরকেও জন্ম নিবন্ধনের সনদপত্র দিয়ে টিকা দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন, ঢাকার সিভিল সার্জন মইনুল আহসান, ইপিআই শাখার পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপিত টিকা কেন্দ্র আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময়ও এখানে টিকা কেন্দ্র পুনরায় স্থাপন করা হবে।

এরআগে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এক বিবৃতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। হল প্রভোস্টগণ স্ব স্ব হলের ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। আবাসিক হল খোলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারও খুলে দেয়া হয়। ন্যূনতম পক্ষে ১ ডোজ টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২১ অক্টোবর থেকে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম স্ব স্ব বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে। ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রথম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে স্ব স্ব হলের প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করে হলে প্রবেশ করতে পারবে।

পছন্দের আরো পোস্ট