খুবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে ভোট বঞ্চিত ১৮ শিক্ষক

নওরিন আহমেদ নোভা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতি নির্বাচন আগামী ১৭ ডিসেম্বর।শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে লড়বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি  সমর্থিত তিন প্যানেল।

শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে অথবা প্যানেল করে নির্বাচন করার সুযোগ নেই।এজন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩ প্যানেলের ৩৯ জন শিক্ষক স্বতন্ত্র প্রার্থীতা জমা দিয়েছেন।এর সকলেই স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত।বঙ্গবন্ধু পরিষদ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন প্রফেসর ড.মাহমুদ হোসেন ও প্রফেসর ড. তরূন কান্তি বোস।স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস। এছাড়া ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন প্রফেসর মো. খসরুল আলম ও প্রফেসর শরীফ মোহাম্মদ খান।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, ছাত্র শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজের পাশাপাশি গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি করে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে কাজ করবো।

Post MIddle

“নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষনা এবং সামগ্রিক মান উন্নয়নে কাজ করবো” বলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ড.মোছাম্মৎ হোসনে আরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ছাত্র শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করার কথা বলেন ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী মো. খসরুল আলম।

এদিকে ১৭ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ১৮ জন শিক্ষক।তাদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষক এরই মধ্যে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়ে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মোহাম্মদ শরীফ হাসান লিমন বলেন,গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির সদস্য হবার চাদা নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন থেকে কাটার কথা অথচ তার এখনো বেতন পাননি।

পছন্দের আরো পোস্ট