যবিপ্রবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা দাবিতে আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা দাবি তুলে ধরে এবং দাবিদাওয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের নিকট থেকে প্রতি কোর্সে রিটেক(ফেল) বাবদ ২০০০ টাকা, স্পেশাল সেমিস্টারে রিটেক কোর্স ৫০০০ টাকা দিতে হয় । এছাড়া ল্যাব অথবা স্পেশাল কোর্সে রিটেকের জন্য প্রতি কোর্সের জন্য ১০,০০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। ইয়ার ড্রপ  সিস্টেমের বদলে ইম্প্রুভ সিস্টেম চালু করার দাবি জানায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ” আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান চালিয়ে যাবো, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির  অভিযোগ মানা হবে না। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উপর জোর করে এমন অনিয়ম চাপিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক“। উক্ত সমাবেশে  তিনি প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রেজিস্ট্রারের বহিষ্কারের দাবি জানান। তাছাড়া যে কোনো অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের গ্যালারী ব্যবহার করতে না দেওয়া, প্রতি সেমিস্টারে ১৫০ টাকা নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন না করা ,রাষ্ট্রপতি ও উপাচার্য পদক পাওয়ার পরেও ডিপার্টমেন্টে ১ম ২য় ও ৩য় স্থানে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ারও অভিযোগ করেন।

Post MIddle

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে রেজিষ্ট্রার দপ্তরে জানতে চাওয়া হলে রেজিষ্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব সাংবাদিকদের জানান, “ এ বিষয়ে আমার নিকট কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব”।

উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,শহীদ মসিয়ূর রহমান (শমর) হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা,শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদিকা হুমায়রা আজমিরা এরিন,শ.ম.র হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও শেখ শরীফ উদ্দিন, ,পিইএসএস বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ,শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ নুর ,মারুফ হোসেন, শেখ শরীফ উদ্দিন , ফাহিম হোসেন, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি,মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন কারণে এত বেশী জরিমানা করলে সেটা তাদের পক্ষে পরিশোধ করা খুবই কষ্টকর, অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব।

পছন্দের আরো পোস্ট