জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিবিএ প্রফেশনাল কোর্স

বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী বিবিএ পড়তে আগ্রহী হওয়ার পেছনে যে কারণগুলো আছে তার একটি হলো চাকরির সুবিধা। এক্ষেত্রে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে নানা পরিবর্তন নিয়ে আসছেন। চাকরির বাজারে বিবিএ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগ, নিরীক্ষা বিভাগ, ট্যাক্স, আর্থিক প্রশাসন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবেও চাহিদা রয়েছে বিবিএ ডিগ্রীধারীদের। আবার যারা ব্যবসা করতে পছন্দ করেন বিভিন্ন উদ্যোক্তা হয়ে তারা কাজ করে সাফল্য লাভ করতে পারেন। বিবিএ শিক্ষার্থীরা ব্যবসার বিভিন্ন শাখায় জ্ঞানলাভ করতে পারেন যেখানে অন্য কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা একটি কিংবা দু’টি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।

বিবিএ কোর্সে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম ৪০টি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। এতগুলো বিষয়ে জ্ঞান থাকার ফলে পরবর্তী সময়ে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারেন। বিবিএ পড়ুয়াদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে স্বচ্ছ ও নির্ভুল। আধুনিক যুগের চাহিদা ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার মানের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে বিবিএ(অনার্স) প্রফেশনাল কোর্স। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই কোর্সটি চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিবিএ (অনার্স) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪ বছর (৮ সেমিস্টার) মেয়াদী একটি কোর্স যার বিষয়গুলো হল হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা এবং মার্কেটিং ও ফিন্যান্স। কোর্সটি পুরোপরি ইংরেজি মাধ্যমে।

সুবিধা সমূহ : বাংলাদেশে দু’ধরণের বিবিএ কোর্স রয়েছে। একটি একাডেমিক ও অন্যটি প্রফেশনাল। সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বিবিএ (অনার্স) পড়ানো হয়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইবিএ-তে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল বিবিএ পড়ানো হয় যেখানে অনার্স শেষে ৩মাস ব্যাপী ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। ফলে চাকরিতে প্রবেশের আগেই অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হন তারা। এই কোর্সে কোন সেসনজট নেই(জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে) এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। ব্যাংকিং সেক্টর বা অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। এই কোর্স সম্পন্ন করার পর এক বছরের এম.বি.এ করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। কোর্সটি পুরোপুরি ইংরেজী মাধ্যমে হওয়াতে চাকরীর ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করা হয় বেশি। যেকোন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন।

Post MIddle

ভর্তির সতর্কতা : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ কোর্সে ভর্তি হলেও সেসকল প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল এর অনুমোদিত স্থানে কার্যক্রম চালাচ্ছে না। এছাড়া ভর্তির ক্ষেত্রেও ভর্তি নীতিমালা মানছে না এবং ভর্তির সময় বিভিন্ন প্রলোভন/টিউশন ফি ছাড় সহ অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা করছে না। ফলে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়ে তাদের শিক্ষা জীবন অসমাপ্ত রেখে বিপথে চালিত হচ্ছে। এটি কাটিয়ে উঠার জন্য যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিবিএ তে ভর্তি হবে তাঁর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন আছে কিনা এবং ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রেরিত যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তি করায় কিনা, জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের ওয়েব সাইট এবং ডারেক্টরিতে সংশি¬ষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ও রেজাল্ট কি রকম তা ভালভাবে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট এবং ডাইরী ডারেক্টরিতে(পৃষ্ঠা নং- ১৯৯ ও ২০০) সংশি¬ষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ও রেজাল্ট কি রকম তা ভালভাবে পর্যবেক্ষন করে ভর্তি হওয়া জরুরি।

ভর্তির খরচ : ৪ বছর মেয়াদী এই কোর্সে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ২১ তম ব্যাচে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। কোর্স ফি ১২০,০০০/-।

সুযোগ-সুবিধা : প্রায় ৬ (ছয) হাজার বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, ওয়াই ফাই সুবিধা, কম্পিউটার ল্যাব, ক্যাফেটেরিযা, ইংরেজি ভাষার জন্য বিশেষ ক্লাস, সেমিনার আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থা, মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি এবং সম্পূর্ন ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতাভূক্ত।

যোগাযোগ: ভূঁইয়া একাডেমী, ৪/১/এ, সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭। ফোন: + ৮৮০২-৯১১৭৩০৫, +৮৮০১৭৩১৩৩৩৫১১।

 

পছন্দের আরো পোস্ট