চুয়েটে ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতি উদ্যাপন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) -এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল”-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘‘বিশ্বপ্রামান্য ঐতিহ্যের” ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন উপলক্ষে এক আনন্দ শোভাযাত্রা অদ্য ২৫ নভেম্বর (শনিবার), চুয়েট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয় অনুষ্ঠিতব্য উক্ত শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চুয়েট শহীদ মিনারে গিয়ে সমাপ্ত হয়। রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে উক্ত শোভাযাত্রায় চুয়েট পরিবারের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। এদিন সকাল থেকে সারাদিন বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রচার করা হয়।

Post MIddle

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, তড়িৎ ও কম্পিউটার অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী প্রমুখ।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। শোষিত বাঙালি জাতির জন্য এই ভাষণ মুক্তির দলিল ছিল। এই ভাষণের প্রত্যেকটা বাণীই একটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক মুক্তির জন্য ছিল পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য আজ সেটা আনন্দের খবর। দেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের সবাইকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট