এশিয়ানে বাংলা নববর্ষ উদযপানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আসর

বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপন উপলক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দুই বাংলার শিল্পী ও কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহনে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আসরের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বরেণ্য কবি আল মুজাহিদী, কলকাতার জনপ্রিয় কবি বরুন চক্রবর্তী, নৃত্য পরিচালক শর্মিলা বসুসহ দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটিতে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়। নববর্ষ উদযাপন বাঙালীর কাছে সার্বজনীন লোক উৎসব। বৈশাখ আসে নতুনের বার্তা নিয়ে, বৈশাখ আসে নবজীবনের রঙ নিয়ে। তিনি বলেন, দুই বাংলার সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্য ও যোগসূত্র রক্ষায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটির নিয়মিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যাবলী উভয় বাংলার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে।

কবি আল মুজাহিদী বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযপান উপলক্ষে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকে এক মঞ্চে একত্রিত করার এই প্রয়াসকে স্বাগত জানাই। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এ ধরণের কর্মকান্ড নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে। বাংলার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধতা অর্জনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।

Post MIddle

কবি বরুণ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করি। এই দেশ আমাদেরকে মাতৃভূমির মতই টানে। আর এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক নিজের বাড়ির মত। আমি বাংলাদেশে আসলে তাই নিজের বাড়িতে না এসে পারি না। তিনি এইউবি উপাচার্যের আতিথিয়তার প্রশংসা করেন।

এ অনুষ্ঠানে দুই বাংলার কবি ও সাহিত্যিকবৃন্দ স্ব স্ব কবিতা, ছড়া ও ছোট গল্প উপস্থাপন করেন। কলকাতার অটিষ্টিক শিশুদের নৃত্য সংগঠন বেহালা অন্বেষা দ্যা কোয়েস্ট মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করে।

বাংলাদেশ ও কলকাতার শিল্পী সাহিত্যিকবৃন্দসহ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট