হাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯ টায় হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন শিক্ষক সমিতি, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, ডরমিটরিসমূহ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, প্রগতিশীল কর্মচারী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম উপস্থিত সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে সকাল ১০.৪৫ টায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডা. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. রুহুল আমিন। শিক্ষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য প্রদান করেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. বলরাম রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ.টি.এম শফিকুল ইসলাম, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, কর্মকর্তাদের পক্ষে কৃষিবিদ মো. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ আহমেদ নয়ন, মামুনুর রশীদ, মারুফ হোসেন, কর্মচারীদের পক্ষে মো. পারভেজ হোসেন প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, আজ ১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দেশ প্রেমের মূর্তপ্রতীক। আমাদের চেতনার অগ্নিমশাল। তাঁর আদর্শ চির অম্লান। সেই আদর্শকে বুকে ধারন করে তাঁরই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় শপথ গ্রহণই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধা জানানো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গড়ার পথে বাংলাদেশের তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরতœ, শেখ হাসিনা জনহিতৈষী পদক্ষেপ, উন্নত রাষ্ট্রচিন্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করার মাধ্যমে দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আরও শক্তিশালী করব এবং সকল ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতিহত করব-এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।

এর আগে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযেগিতার উদ্বোধন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। আলোচনাসভা শেষে ডকুমেন্টারী ফিল্ম প্রদর্শন করা হয়। বাদ জুমা বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট