গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকদের ওয়ার্কশপ

যে কোনো দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা উচ্চশিক্ষার মানের ওপর। বাংলাদেশেও এ ক্ষেত্রে ভিন্ন নয়। তবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে এদেশের উচ্চশিক্ষায় আরো মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে। সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন ইউনিভার্সিটিও আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি; ২০১৭) গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র অডিটোরিয়ামে ‘মানসম্মত শিক্ষা কাঠামো: গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিভাগগুলোর জন্য পরামর্শ’ শীর্ষক শিক্ষকদের এক ওয়ার্কশপে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল অব গ্রিন ইউনিভার্সিটি এ কর্মশালার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্লাহ, রেজিস্ট্রার লে. জে. (অব.) মইনুল ইসলাম, গ্রিন বিসনেস স্কুলের ডীন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ফয়জুর রহমান বক্তব্য রাখেন। স্বাগত ভাষণ দেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইকিউএসি সেল পরিচালক ড. জগন্নাথ বিশ্বাস ও অতিরিক্ত পরিচালক ড. পারভেজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

Post MIddle

কর্মশালার শুরুতে ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শহীদ উল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এ ধরনের কর্মশালা গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে আরো এগিয়ে নেবে। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে মানসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষকদেরও উচ্চমাত্রার প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হতে হবে। গ্রিন ইউনিভার্সিটি আইকিউএসি সেটা বাস্তবায়নেই কাজ করছে।

রেজিস্ট্রার লে. জে. (অব.) মইনুল ইসলাম বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কাঠামো গতিশীল, আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে মনিটরিং সেল হিসেবে কাজ করে আইকিউএসি। কাক্সিক্ষত পড়ালেখার মান ধরে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কাজ করছে এই সেল। ভবিষ্যতে তা আরো কার্যকর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিটিআই পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মোজাহার আলী এই ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন এবং উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম মানসম্মত ও আধুনিক করতে নানা তথ্য তুলে ধরেন।

পছন্দের আরো পোস্ট