শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের দুই মাসব্যাপী ১০ কর্মসূচি

Press-club-720160408130053প্রাথমিক পরবর্তী স্কুল ও কলেজ শিক্ষা জাতীয়করণ ও আগামী বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে দুই মাসব্যাপী ১০ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট। শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রন্টের নেতারা এ ঘোষণা দেন। দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের ১১টি সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম এ ফ্রন্ট।

 

নেতারা জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) চার নম্বর লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যমতের আহ্বান জানান।এর প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। শিক্ষা আইনের খসড়ায় কোচিং সেন্টার প্রসঙ্গে বর্ণিত ধারার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে জরিমানা ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ ও শাস্তির মেয়াদ পাঁচ বছর করার দাবি জানান তিনি।

 

Post MIddle

সম্মেলনে শিক্ষা জাতীয়করণকে মূল দাবি রেখে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ২১ দফা দাবির পক্ষে ও সমর্থনে জরুরি ১৬ বিষয় সরকারের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিচ্ছিন্ন ও খণ্ডিতভাবে স্কুল কলেজ সরকারি করার পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন পূর্বক শিক্ষা জাতীয়করণ। শিক্ষা আইন সংসদে পাস। সংবিধিবদ্ধ স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন। শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অচলাবস্থা নিরসন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা সম্প্রসারিত হওয়ায় সুব্যবস্থাপনার জন্য অন্তর্বতী কর্মসূচি নেওয়া।

 

পর্যায়ক্রমে শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপি’র ৬ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে ২০১৬-১৭ বর্ষের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে সৃজনশীল বিষয়ে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ। অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষার অনুকূলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উপযোগী ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

 

১৬ এপ্রিল সব জেলা সদরে আনন্দ মিছিল, ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর অঙ্গীকার লিপি ও প্রত্যাশাপত্র পেশ, ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল প্রতি জেলায় পেশাজীবী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, সপ্তাহে দুইদিন প্রতি শিক্ষকের একটি করে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া দুই মাস, ২০ এপ্রিল জেলায় ও ৩০ এপ্রিল উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধনসহ ১০ কর্মসূচি পালন করবেন তারা দুই মাসব্যাপী।

 

পছন্দের আরো পোস্ট