দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় যুবউৎসবে খুবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব

Khulna University photo-ভারতের লক্ষ্মৌতে আয়োজিত নবম দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় যুবউৎসবে অংশগ্রহণকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ইভেন্টে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত লক্ষ্মৌতে অবস্থিত বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

 

আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, মরিশাস, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার শতাধিক শিক্ষার্থী এই উৎসবে যোগ দেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫টি সরকারী এবং ৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮জন শিক্ষার্থী এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এ উৎসবের সব ইভেন্টেই অংশ নেয়। এ উৎসবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগদানকারী ৩ জন শিক্ষার্থী ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষ ২য় টার্মের ছাত্র মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষ ২য় টার্মের ছাত্রী শাপলা সিংহ এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষ ২য় টার্মের ছাত্রী অনিন্দিতা উষসী।

 

দেশে ফিরে তারা জানান যে, সেখানে তারা বিভিন্ন শাখায় তাদের নৈপূণ্য প্রদর্শন করেন। উৎসবে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে খুবির ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ছাত্রী শাপলা সিংহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককভাবে সর্বাধিক ইভেন্ট হিসেবে ক্লে মডেলিং, স্পট ফটোগ্রাফি, পোস্টার মেকিং, ফোক ড্যান্সে অংশগ্রহণ করেন।

 

Post MIddle

এছাড়া কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ছাত্র মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত বক্তৃতা, অভিনয় এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ছাত্রী অনিন্দিতা উষসী ফোক ড্যান্স, ক্লাসিক্যাল ড্যান্স ও দলীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন। বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকার বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আর সি সবতি ও অন্যান্য প্রতিনিধিগণ তাদের দক্ষতার ভূয়শী প্রসংশা করেন এবং উপস্থিত দর্শকদের কাছেও তা প্রশংসিত হয়। প্রশংসার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিদের কাছে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী খুবির প্রতিনিধি ৩ শিক্ষার্থীও সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন। দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের সংমিশ্রণ, চিন্তার ঐক্যতান এবং ছন্দের সুসঙ্গতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সঙ্গতিবিধানসহ বিভিন্ন উপাদানের মেলবন্ধন, ঐক্য ও সংহতি অর্জন ছিলো এই উৎসবের প্রধান লক্ষ্য।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. নাসিমা রহমান এবং প্রশাসন বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম।#

 

 

লেখাপড়া২৪.কম/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট