সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

HSC-exam

দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো আগে ৫০ মিনিটে এমসিকিউ অংশ এবং ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে পরের দু’ঘণ্টায় সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।

 

 

সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরীক্ষার রুটিন করা হয়েছে। তাই নির্বাচন হলেও পরীক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না।শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৭-০৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার সংখ্যা ছিল ২৫ শতাংশ। যা আমরা কমিয়ে ১৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটা আমাদের সাফল্য।

 

Post MIddle

এবারের পরীক্ষায় ১০ বোর্ডে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গেল বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪। ১০ বোর্ডের মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১, কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ২ এইচএসসি ও হাজার ১৩২ ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৭৯৬ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। গেল বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার থেকে এ পরীক্ষায় প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিটের বিরতি থাকবে। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ৯ জুন। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুন। এবার ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এ বছর মোট ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। ২০১২ সালে শুধু বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গেল বছর ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর নতুন ছয়টি বিষয়ের ১১টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।

 

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি-জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষা কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।#

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট