সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি বাকৃবি শিক্ষকদের

বাকৃবি প্রতিনিধি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির শিক্ষকেরা।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশবিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানব বন্ধন আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। এসময় তারা সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক বলে দাবি করেন।

এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো আসাদুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারসহ বিশবিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রায় দু শতাধিক শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ।

Post MIddle

অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, প্রজ্ঞাপনটি একটা চক্রান্ত। শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছে। বিশ্বের কোথাও শিক্ষকদের মান-মর্যাদা কখনো নিচু করা হয় না। এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও বাতিলের দাবি জানাই।

অধ্যাপক ড. মো আসাদুজ্জামান সরকার বলেন,এক অসাধু মহল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও জাতিকে মেধা শূণ্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে মেধাবি শিক্ষার্থীরা বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। প্রজ্ঞাপনটি বৈষম্যমূলক, হতাশাসৃষ্টিকারী ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। উপরন্তু, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এর আওতাভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার পেশাকে রীতিমতো অবমাননা করা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যাঁরা যোগদান করবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে। হঠাৎ এমন প্রজ্ঞাপন জারির ফলে  সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট