পায়ে হেঁটে চবি ক্যাম্পাস থেকে কক্সবাজার পরিভ্রমণ
চবি প্রতিনিধি।
পায়ে হেঁটে দীর্ঘ ১৮০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ শেষে রোভার স্কাউটের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) দুপুর ১২ টায় চবি রোভার স্কাউট গ্রুপ কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এ সময় চবি রোভার স্কাউট গ্রুপ কমিটির সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। রোভার স্কাউট এর সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ স্কাউটস চট্টগ্রাম জেলা রোভারের আওতাধীন অগ্রপথিক মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপের রোভার মোঃ সোহরাব হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার মোঃ মারুফ ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের রোভার মোঃ হাবিবুর রহমান ও বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজের রোভার হানজালা সরকার।
উপাচার্য পায়ে হেঁটে ১৮০ কিলোমিটার পরিভ্রমণকারী চার রোভার স্কাউটকে শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। তিনি রোভার স্কাউটদের এ ধরণের সাহসী পদক্ষেপের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য বলেন, “রোভার প্রোগ্রামের পারদর্শিতা ব্যাজের মধ্যে অন্যতম ও আকর্ষণীয় হচ্ছে পরিভ্রমণকারী ব্যাজ। এ ব্যাজ অর্জনের মাধ্যমে রোভারদের মধ্যে ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।” রোভার স্কাউটরা লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সমাজসেবামূলক কর্মকা-ে নিজেদের নিয়োজিত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্য রোভার স্কাউটদের সুস্বাস্থ্য ও সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত রোভার স্কাউটদের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড “প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড” অর্জনের লক্ষ্যে পরিভ্রমণকারী ব্যাজ অর্জনের জন্য চারজন রোভার স্কাউট গত ২৫-২৯ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৮০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন। পাঁচ দিনব্যাপি এই প্রোগ্রামে তাঁরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনোয়ারা, বাঁশখালী, পেকুয়া, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করেন। পরিভ্রমণকালে পথে পথে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক বিষয় সম্পর্কে স্থানীয়দের অবগত এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কুশল বিনিময় করেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্যদিয়ে তাদের পাঁচদিনের এই পরিভ্রমণ সম্পন্ন হয়।