এআই কানেক্ট বাংলাদেশ সামিট আয়োজন করেছে দীপ্তি 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বিভিন্ন শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সহযোগীতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন ইউনিভার্সিটি (আইইউ) এবং GoEdu অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম “এআই কানেক্ট বাংলাদেশ সামিট ২০২৪” শীর্ষক দিনব্যাপী সামিট আয়োজন করে।

৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল প্লাজায় অনুষ্ঠিত এ সামিটের উদ্বোধন করেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ই্উনিভার্সিটির বিজ্ঞন ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, অগমেডিক্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাশেদ মজিব নোমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি) পরিচালন রথিন্দ্রনাথ দাশ প্রমূখ।

এ সামিট দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান দীপ্তি’র একটি প্রয়াস, যার লক্ষ্য হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এর সর্বশেষ প্রবণতা, অগ্রগতি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি অন্বেষণ করতে চিন্তাশীল নেতা, শিল্প বিশেষজ্ঞ, গবেষক, পেশাদার এবং ছাত্রদের একত্রিত করা।

Post MIddle

এআই কানেক্ট বাংলাদেশ সামিটে”একাধিক সমান্তরাল প্রশিক্ষণ সেশন, প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা এবং নেটওয়ার্কিং ও প্রদর্শনীর সুযোগ সমন্বিত একটি গতিশীল প্রোগ্রাম প্রদর্শন করে। অংশগ্রহণকারীরা বিজনেস ট্রান্সফরমেশনে এআই, কনটেন্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য এআই, শিক্ষায় এআই, সামাজিক প্রভাবের জন্য এআই, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এআই, ক্যারিয়ার এনহ্যান্সমেন্টে এআই এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ পায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আমি যখন কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি তখন আমি ভেবেছি কম্পিউটারে কিভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা যায়। আজ আমি গর্বের সাথে বলতে পারি কম্পিউটারে যে কোন প্লাটফর্ম থেকে বাংলা লেখা যায়। এআই বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বশেষ অবস্থা। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আসবে এবং এগুলোকে আমাদের স্বাগত জানাতে হবে এবং আমাদের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সোস্যাল মিডিয়ায় অত্যান্ত সতর্কতার সাথে তথ্য শেয়ার করতে হবে। ব্যক্তিগত সব তথ্য শেয়ার না করাই ভালো। আমরা কতটুকু প্রযুক্তি ব্যবহার করবো তার সীমানা থাকা দরকার। যেই জায়গা গুলোতে আমাদের গ্যাপ আছে সেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব হলো প্রযুক্তি নির্ভর একটি দুনিয়া।  তবে ৫ম শিল্প বিপ্লব হতে হবে মানবিক বিপ্লব। পরিশেষ তিনি তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের উপড় গুরুত্ব আরোপ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, প্রযুক্তির কারনে যত কর্মসংস্থান কমেছে তার চেয়ে বেশী সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রযুক্তি হতাশার নয় বরং ভয়ের কারন রয়েছে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না হলে তা অভিশাপ হতে পারে। তাই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আমাদের সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন দেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ড্যাফোডিল পরিবারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ সামিটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে শিল্পকে নতুন আকার দিচ্ছে, শেখার অভিজ্ঞতা বাড়াচ্ছে, বিপ্লব ঘটাচ্ছে এবং ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে সে সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। অংশগ্রহণকারীরা ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে, ইন্টারেক্টিভ আলোচনায় নিয়োজিত হয় এবং অও এর বাস্তব-বিশ্বের অ্যাপ্লিকেশনগুলি অন্বেষণ করে। এছাড়াও ছিল সেশনের পুরস্কার, অংশগ্রহণকারীদের জন্য উপহার এবং সার্টিফিকেট।

পছন্দের আরো পোস্ট