জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সুবিধা পাবে সিকৃবির শিক্ষার্থীরা

সিকৃবি প্রতিনিধি।

সাম্প্রতিককালে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এক অভূতপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। ম্যাক্স প্ল্যাংক সোসাইটির তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (ইনস্টিটিউট) প্রতিথযশা বৈজ্ঞানিকেরা সেখানে কাজ করে চলেছেন।

টওসিমেন শহরে স্থাপিত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজি টওসিমেন এর সমন্বিত বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান বিভাগের সাথে  সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো। যার ফলে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশেষ করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের গবেষণার আইডিয়া, ফলাফল ইত্যাদি আদান প্রদান করতে একটি বড় সুযোগ তৈরি হলো।

Post MIddle

বছরের শেষ কর্মদিবসে আজ (২৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ভাইস-চ্যান্সেলর সচিবালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জার্মানি থেকে অনলাইনে যুক্ত হোন প্রফেসর ড. আদ্রিয়ান স্ট্রেইট। সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব। ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজি টওসিমেনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন বারনী অমরসিংহী। জার্মানির গবেষক ড. মার্কাস জোহান্সও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পুরো অনুষ্ঠানটি তত্বাবধান করেন সিকৃবির প্যারাসাইটোলজি বিভাগের ড. তিলক চন্দ্র নাথ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. কাজী মেহেতাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম সোহাগ, প্রফেসর ড. মোঃ আবু জাফর ব্যাপারী, মিসেস সেলিনা বেগম, ডাঃ আফরাদুল ইসলাম, কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম, ডাঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এ চুক্তির ফলে সমন্বিত গবেষণার পাশাপাশি দুই দেশের দুই প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিকবৃন্দ একসাথে প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশ নেবার সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থী যারা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে চায় তাদের জন্যও এই সমঝোতা চুক্তি সুবিধা হয়ে আসলো।

পছন্দের আরো পোস্ট