স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক।

একজন ইঞ্জিনিয়ার যেমন নকশা করে কোথায় একটি ভবনের অডিটরিয়াম হবে, কোথায় করিডোর হবে, কোথায় কয়টা এবং কী মাপের ঘর হবে; ঠিক তেমনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রাবস্থায় কোলকাতা থেকে দেশে ফিরেই নকশা করেছিলেন কীভাবে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাঁর সেই নিখুঁত নকশার মাধ্যমেই আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। আর এজন্যই তিনি বাংলাদেশের স্থপতি।

৩০ মার্চ ২০২২ বুধবার বাংলাদেশ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর এসব কথা বলেন।

Post MIddle

মাননীয় উপাচার্য বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এদেশের সবকিছু পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গেছে। এদেশের মানুষ ফসল ফলিয়েছে আর তারা তা পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে ভোগ করেছে। অথচ এদেশের জনগণকে তারা কোন বড় পদে চাকরি দেয় নি। মুক্তিযুদ্ধকালীন তারা এদেশে সবসময় বনভোজন করেছে। কার বাড়িতে মুরগি ভালো আছে, কার বাড়িতে ছাগল আর কার বাড়িতে গরু আছে দেখে ধরে নিয়ে এসে খেয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন আসলেন তখন দেশ কেবল পোড়া বাড়ির মতো পেয়েছেন। তিনি এই দেশের অবস্থা দেখে কেঁদেছেন। এদেশের মানুষ যে কৃষি কাজ করে বাঁচবে তারও কোন সুযোগ ছিল না। কারণ হাল চাষ করার জন্য গরু ছিল না, হানাদার বাহিনী তো সব খেয়ে শেষ করে গেছে। জাহাজ ভিঁড়বে নদীতে কিন্ত মাইন পোতা ছিল নদীর পাড়ে। রাস্তা-ঘাট সব ছিল ধ্বংসস্তুপ। এমন দেশকে কীভাবে সচল করা যায় তা বঙ্গবন্ধু পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দেয় নি এদেশের কিছু বিপথগামী ঘাতক। তারা ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও বাঁচতে দেয় নি। মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বেঁচে যান।

ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণ করেই আজ দেশ পরিচলনা করছেন। শেখ হাসিনা সেই পাঁচ বছর বয়স থেকেই বঙ্গন্ধুর সাথে থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। তখন থেকেই তাঁর মনে গেঁথে গিয়েছিল রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করার কারণেই তিনি আজ বাংলাদেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে পেরেছেন এবং তিনি বিশ্ব নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি)-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মির্জ্জা মানজুরুল হক-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিবিএমসিবি-এর গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ডা. মোমেনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন সিএইচ এফ বি-এর নির্বাহী সভাপতি ডা. শেখ মো. আব্দুল মান্নান এবং পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহবুব উল করিম খান। এসময় কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি)-এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট