বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির নানা আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পালিত হলো স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২২। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল কুরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, কেট কাটা ও বিশেষ আলোচনা সভা ।

১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরে হল রুমে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে  আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শওকতুল মেহের, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদেন ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষবৃন্দ।

Post MIddle

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এ দেশে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের কোনো স্বাধীন দেশ জন্ম হতো না, বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু অভিন্ন। সকল অর্থেই তিনিই বাংলাদেশ। তিনি কখনো নিজের স্বার্থের কথা ভাবেন নি, ভেবেছেন দেশের মানুষের কথা।  ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।

তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রার এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, আজ মহান এ নেতার জন্য মাগফেরাত কামনা এবং শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি তাঁর অবদানকে। আমাদের উচিৎ মহান এ নেতাকে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে বিভক্ত না করে শ্রদ্ধা ভরে তাঁর দেশ প্রেমকে স্মরণ করা। যদি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় তাহলে এ আত্মত্যাগ প্রকৃত মর্যাদা পাবে।

পছন্দের আরো পোস্ট