জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে ডুয়েটে আলোচনা সভা

ডুয়েট প্রতিনিধি।

‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার/ ডিজিটাল গ্রন্থাগার’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আজ শনিবার বিকালে (৫ ফেব্রুয়ারি) ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিবসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো একটি জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে এবং ইতিহাস, বৈজ্ঞানিক আবিস্কার সম্পর্কে জানার জন্য জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। আর এই জ্ঞানচর্চার আধার হলো গ্রন্থাগার। তিনি বলেন, সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে জানবে।

Post MIddle

সারাদেশের গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটাল ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে বেশি বেশি বই পড়ার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ শিক্ষা ও গবেষণার বিকাশে গ্রন্থাগারের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন। অনুষ্ঠানে লাইব্রেরির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।

ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. আবু আউয়াল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ্রগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট