গ্লোবাল আইসিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ড্যাফোডিল

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইসিটি ও অনলাইন এডুকেশনে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল আইসিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ পেয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলোর জোট ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস এলায়েন্স (উইটসা) কর্তৃক এ স্বীকৃতি পেল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

গত (১৪ নভেম্বর) শনিবার বাংলাদেশের স্বাগতিকতায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্যও যোগাযোগ খাতের বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেনোলজি ২০২১ (ডাব্লিউসিআইটি-২০২১) এ এর৮৫ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদার উইটসার আঞ্চলিক পরিচালক শহীদ উল মুনীর এর কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,উইটসার মহাসচিব ড. জেমস্ এইচ পয়জান্ট, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

Post MIddle

এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ছিল তাৎপর্যপূর্ন বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উইটসা ইমিনেন্ট পারসোনস এওয়ার্ড পাওয়া এবং উইটসার মহাসচিব ড. জেমস্ এইচ পয়জান্ট এর কাছ থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পুরস্কার প্রহণ করা।

বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৩টি অর্গানাইজেশন এবারের উইটসায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করে তার একটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

পুরস্কার ঘোষনার প্রাক্কালে উইটসার চেয়ারম্যান ইয়ান্নিস সিরোস বলেন, ২০২১ সালের গ্লোবাল আইসিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড এর জন্য ১০০টি একক ও উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয় তার মধ্যে জুরি বোর্ডের বিচারে সবার সাথে প্রতিযোগীতা করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শ্রেষ্ঠহওয়ার গৌরব অর্জন করে।

বিশ্বের ৮৫টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এ পুরস্কারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করে থাকেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে একটি পরিপূর্ন ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং তথ্যপ্রযুক্তির দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবহার, উল্লেখযোগ্য মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল প্রদান, বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহার বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতনতা ও অনুপ্রেরনা প্রদানের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখার স্বীকৃতি, আইসিটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্তি এবং অনলাইন টিচিং ইভালুয়েশন সিস্টেম এবং সর্বোপরি করোনা অতিমারীকালে ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষাকার্যক্রম নিশ্চিত করার মত বিষয়গুলোর ব্যাপক প্রচলনের জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিশ্বে অনন্য নজীর স্থাপন করে এবং দেশের জন্য এ সম্মান বয়ে আনে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে একমাত্র এবং তৃতীয়বারের মত এ সম্মানা (যা বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ‘নোবেল’ হিসাবে খ্যাত) অর্জন করায় ড্যাফোডিল এডকেশন নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, উইটসা, এবং ইন্ডাস্ট্রি লিডারদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

পছন্দের আরো পোস্ট