অবশেষে গবির সড়ক ভোগান্তি থেকে রক্ষা

সুপর্না রহমান,গবি প্রতিনিধি।

অবশেষে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার প্রধান সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে। গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) করা এক প্রতিবেদনের পর সড়কের সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে কন্ট্রাক্টর নূরে আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশমাইল থেকে নলাম পর্যন্ত এলজিডি এই সড়কের সংস্করণের দায়িত্ব পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আজ সকালে দশজন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেছি। একটি ক্রেন গাড়ি আনা হয়েছে। আনুমানিক ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ শুধু ভাঙা জায়গাগুলো মেরামত করতে বলা হয়েছে। রাস্তায় অনেক গাড়ি চলাচল করছে৷ ফলে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী আসা-যাওয়া করছে৷ রাস্তা একেবারে বন্ধ করে কাজ করাও সম্ভব হচ্ছে না।’

Post MIddle

রিকশা চালকেরা বলেন, সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। আনন্দের খবর৷ কিন্তু দিনে কাজ করায় যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের নিরিবিলি ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে৷যাত্রীদের কাছে বেশি ভাড়া চাইলে যেতে চায় না৷বিকেলে বা রাতে সড়কের কাজ করলে ভালো হতো। পথচারীরাও চলাচল করতে পারতো। তারাও শান্তিতে রাস্তার মেরামত করতে পারতো।

গবি শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক রোদ। রাস্তায় রিকশা নেই৷ ছায়াতে দাঁড়াবো, এমন জায়গাও নেই। সড়কের কাজ করতে এসে পথচারীদের ভোগান্তি বেড়েছে। নিয়মিত কাজ করা হোক। সকালে কাজ বন্ধ রেখে, বিকেল থেকে কাজ করলে ভোগান্তি কমবে৷ সড়ক যেন মজবুত হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হোক।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি৷ এছাড়াও দেড় কিলোমিটার সড়কের ধার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ, গার্মেন্টসসহ বেশ কিছু শিল্প-কারখানা।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষের দিকে সড়কের সংস্কার করা হয়। তবে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে।

পছন্দের আরো পোস্ট