ঢাবি সিনেটের অধিবেশনের কিছু বিষয়ের স্পষ্টীকরণ

ঢাবি প্রতিনিধি

১৫ জুন কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন সংক্রান্ত সংবাদের কতিপয় বিষয়ের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত এই সংবাদের কিছু কিছু বিষয় জনমনে সন্দেহ/বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্টদের সদয় অবগতির জন্য কতিপয় বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য নিম্নে প্রদান করা হলঃ

১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সভা ‘তড়িঘড়ি’ করে বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ এর সংশ্লিষ্ট আর্টিকেল উপেক্ষা করে আহবান করা যায় না। ’৭৩ আদেশ-এর আর্টিকেল ২১-এ একুশ (২১) পূর্ণদিবস (Clear Days) পূর্বে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন আহবানের কথা বলা হয়েছে, ২১ কার্যদিবস (Working Days) নয়। বস্তুত সিনেটের এই বার্ষিক অধিবেশন তড়িঘড়ি নয় যথাযথ বিধি বিধান অনুসরণ করেই আহবান করা হয়েছে।

২। সকল গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও বিধি বিধান অনুসরণ করেই সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন বডিতে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেটে তাদের মনোনয়ন প্রদান করা হয়।

৩। সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন সাধারণত জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ কয়েক দশক পর পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠিত হয়েছে। ১৬ই জুন, ২০২০ তারিখের পর ক্রমান্বয়ে এই সিনেটের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরির সদস্য বিশেষ করে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি ও ডাকসু প্রতিনিধিবৃন্দ সদস্য হিসেবে সিনেটে থাকবেন না। তাই পূর্ণাঙ্গ সিনেট অধিবেশনের আয়োজন ও সকল ক্যাটাগরির সদস্যদের সম্মান ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য ১৪ই জুন, ২০২০ সিনেটের বার্ষিক সভা আহবান করা হয় ।

Post MIddle

৪। সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন দু’দিন-ব্যাপি অনুষ্ঠিত হওয়ার রেওয়াজই বেশি। এ বছরও এই অধিবেশন দু’দিন-ব্যাপি অনুষ্ঠিত হবে। Covid-19 Pandemic উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজেট উপস্থাপন ও অনুমোদনের জন্য সিনেটের এই বার্ষিক অধিবেশন আগামী ২৩শে জুলাই, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বহুদিন পূর্বে নয়, নিকট অতীতে নভেম্বর মাসেও সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট উপস্থাপিত ও পাশ হয়েছে।

৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ১(এক) জন চেয়ারম্যান, অন্যরা সম্মানিত সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সিনেটের সচিব। সিনেট অধিবেশন পরিচালনায় সকল রীতিনীতি ও ঐতিহ্য অনুসরণে কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি।

৬। জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সর্বাগ্রে। বিশ্ববিদ্যালয় এই দর্শন লালন ও উৎসাহিত করে। এ কারণে কোন কোন সম্মানিত সদস্য শুধু সিনেটে নয়, সংক্ষিপ্ত পরিসরের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সভায়ও কখনও কখনও অনুপস্থিত থাকেন। এটা, নিঃসন্দেহে, দোষের কোন বিষয় নয়। এবারের সিনেট অধিবেশনে বেশ কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত সদস্য উপস্থিত না হতে পেরেও টেলিফোনে উপাচার্যের মাধ্যমে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং অধিবেশনের সফলতা কামনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত সদস্যবৃন্দের এরূপ সুন্দর মূল্যবোধকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে।

৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ভাবমূর্তি ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সকলের সদয় সহযোগিতা প্রত্যাশিত।

পছন্দের আরো পোস্ট