জাতিসংঘের বিশেষ দূত হলেন আবুল কালাম আজাদ

লেখাপড়া ডেস্ক।

জাতিসংঘের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রাক্তন মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। রবিবার সিভিএফ ম্যানেজিং পার্টনার, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন বোর্ড প্রেসিডেন্ট বান কি মুন এবং সিভিএফের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) অর্থ মন্ত্রীদের সংগঠন ভালনারেবল টোয়েন্টি (ভি-২০) গ্রুপের দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. আবুল কালাম আজাদ ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক পদে নিয়োগ পান। তার আগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিশ্বব্যাংকের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) বিষয়ক কর্মসূচীগুলোর দায়িত্ব পালনেও নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন আজাদ। এছাড়া মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক সহ একধিক দপ্তরে দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস ও বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

 

Post MIddle

৪৮টি দেশ নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ফোরাম সিভিএফ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলায় কাজ করার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কাজ করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর অবস্থান তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের আগে সিভিএফ প্রতিষ্ঠা করে মালদ্বীপ।

 

নতুন দায়িত্ব পেয়ে মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ভালনারেবল কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ দৃষ্টান্তমূলক অনেক কাজ করেছে, তার একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ১৯৭০ সালে দেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া আম্পান মোকাবেলায় আমরা সফল হয়েছি। আমাদের এই সক্ষমতার স্বীকৃতি হচ্ছে দ্বিতীয় মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিভিএফ-এর সভাপতি পদ লাভ করা। তাই এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জলবায়ু সম্পর্কিত বিষয়গুলি সাউথ করর্পোরেশন ভালনারেবলসহ অন্য যে দেশগুলো রয়েছে তাদেরকে সার্পোট করা।”

 

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্চ গ্লোবাল ওয়ামিং যে তাপমাত্র ২০/৫০ এর মধ্যে ০২ ডিগ্রীর বাড়ানোর মধ্যে সীমিত থাকা অর্থাৎ ১.৫ ডিগ্রীর জন্য চেষ্টা করা। আমরা যাতে অন্য ভালনারেবল কান্ট্রি গুলোর পক্ষ থেকে ভালোভাবে গ্লোবাল ওয়ামিং কমানোর পদক্ষেপ নিতে পারি।”

পছন্দের আরো পোস্ট