আমরণ অনশনের দিকে বশেমুরবিপ্রবি’র ইটিই বিভাগ

ফয়সাল হাবিব সানি,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে নিজেদের বিভাগকে একীভূতকরণের দাবিতে শেষমেশ আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা ১৫ জানুয়ারি থেকে এ আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বলা বাহুল্য, বিভাগ একীভূতকরণের দাবিতে টানা ৬৬ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে তেমন কোনো আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে ইটিই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে জানান।

তারা বলেন, আমরা দীর্ঘ ৬৬ দিন যাবৎ নিজ বিভাগের সামনে শান্তি ও শৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে এখন পর্যন্তও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায়, আমরা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি প্রদান করেছি। যদি তারপরও জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে প্রশাসন আমাদের বিষয়টির যথোপযুক্ত সমাধান নিষ্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা এবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব এবং একই সাথে আমরা আমরণ অনশনেও যাব৷’

Post MIddle

প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগের (ইটিই) চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, দএই মুহূর্তে তারা আমরণ অনশনে গেলেও আমাদের কিছুই করার নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখবার জন্য পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অপরিহার্য। তিনিই বিষয়টি সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য না আসার পূর্বে এ বিষয়টির আশু কোনো সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, নানান প্রতিবন্ধকতার দরুণ এবং জব সেক্টরে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক অনেক কম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এবং পদে পদে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন দাবি করে গত ১৭ অক্টোবর থেকে ৬৬ দিন পর্যন্ত নিজ বিভাগের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ওই বিভাগ (ইটিই)। এছাড়াও, পাঠ্যপুস্তকে ৮০% মিল থাকার পরও কেনো তারা সর্বক্ষেত্রে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে পিছিয়ে পড়বে এমন কারণ দর্শিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন ওই বিভাগের ১৫৮ জন শিক্ষার্থী৷

পছন্দের আরো পোস্ট