কুবিতে ‘ইনডেমনিটি’ নাটক প্রদর্শিত

|| কুবি প্রতিনিধি ||

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) থিয়েটার কুবির প্রযোজনায় ও ওয়ান বাংলাদেশের আয়োজনে নাটক ‘ইনডেমনিটি- একটি কালো অধ্যায়’ প্রদর্শিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে মান্নান হীরা রচিত এই নাটকটি কুবি থিয়েটারের অন্যতম নাট্য নির্দেশক তামিম আল হাসানের নির্দেশনায় প্রদর্শিত হয়।

সর্বসাধারণের কাছে সহজভাবে ইনডেমনিটির কালো অধ্যায় তুলে ধরার জন্য ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় সারা বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘ইনডেমনিটি-একটি কালো অধ্যায়।’ ‘Indemnity’ নামক ফেসবুক পেইজে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চায়িত নাটক সরাসরি একই সময়ে সম্প্রচার করা হয়েছে।

Post MIddle

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকটির প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার মাত্র ৪১ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় “ইনডেমনিটি” বা “দায়মুক্তি” আইন অধ্যাদেশ। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার পথও বন্ধ করে দেয়া হয়। এই অধ্যাদেশকে আরো পাকাপোক্ত করার জন্য এবং হত্যাকারীদের চিরতরে বাঁচাতে ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনী এনে এটাকে আইনে রূপান্তর করেন।

এই আইনে আরো বৈধতা দেয়া হয় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ থেকে ৯ এপ্রিল, ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সকল অবৈধ হত্যা, গুম ও ক্ষমতার। জাতীয় চার নেতার হত্যা থেকে শুরু করে হাজারো মুক্তিযোদ্ধা, সেপাহী, আর্মি, নৌ-অফিসারদের হত্যার বিচার থেকে বঞ্চিত হয় স্বজন ও সর্বোপরি সকল বাংলাদেশি। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি দিতে সংবিধানের “ইনডেমনিটি” আইন বাতিল করা হয় যা দেশ ও জাতির এক ভয়ঙ্কর কালিমা থেকে মুক্তির দ্বার উন্মোচন করে।

 

কুবি/এমকে

পছন্দের আরো পোস্ট