খুবিতে শিক্ষাসমাপনীর আলোচনা সভা 

খুবি প্রতিনিধিঃ

সকল সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরবদীপ্ত স্থানে পৌঁছে নিতে চাই # বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সমাজ থেকে অন্ধকার দূরীভূত করা, সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া # বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি স্কোয়াড গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান, যাতে ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী মাদকে জড়িয়ে না পড়ে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তিনদিনব্যাপী শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রি. তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা অনুষ্ঠানের। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ ছিলো মিলনায়তন। তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। শোভিত পোষাকে উপস্থিত বিদায়ী শিক্ষার্থীদের অর্ধেকের বেশি ছিলো ছাত্রী। শিক্ষার্থীদের এই বিদায়ী আলোচনা অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয় ‘সায়ন্তন’। সাজানো গোছানো অনুষ্ঠানের আয়োজন ও পরিবেশনে উপাচার্যসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ মুগ্ধ হন।

Post MIddle

সবাই ১৬ ব্যাচের এই আয়োজন এবং তাদের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সৌজন্যতার প্রশংসা করেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন তারুণ্যে পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যায় হচ্ছে জীবন গঠন ও সৃজনশীলতার শ্রেষ্ঠ সময়। এখান থেকে কেউ বের হতে চায় না। কারণ, জীবনে মুক্ত পরিবেশে তারুণ্যদীপ্ত বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আনন্দময় সময় কাটে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গেলেও আজন্ম সেই আকর্ষণ যেনো থাকে এবং ভবিষ্যৎ জীবন যেখানেই কাটুক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি হবে এবং তারা সবসময়ই বাঙালির চিরায়ত মূল্যবোধ ও বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করবে সেটাই আমরা সবসময় প্রত্যাশা করি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থির পরিবেশের মধ্যেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চমৎকার পরিবেশ ধরে রাখার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন সকল সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা গৌরবদীপ্ত স্থানে পৌঁছে নিতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সমাজ থেকে অন্ধকার দূরীভূত করা, সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া। ক্যাম্পাসের কোনো শিক্ষার্থী যাতে মাদকে জড়িয়ে না পড়ে, ক্যাম্পাসে মাদক প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি স্কোয়াড গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জানান। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার এবং সামাজিক সেবা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এজন্য তিনি এই ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলী এবং ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শরীফ হাসান লিমন। ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল সৌদ নিলয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী মোঃ মতিউর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন উজ্জ্বল সাহা।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে স্মারক ক্রেস্ট উপহার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৬ ব্যাচেরর প্রত্যেক ডিসিপ্লিনের প্রতিনিধিদের হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য।

এছাড়া বিকেল ৪ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তৃতীয় দিন ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠান সমাপনীর দিন বিকেল ৪-৩০ টায় মুক্তমঞ্চে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট