জাবি ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় রোভার স্কাউট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় ও শৃঙ্খলা রক্ষায় দিনরাত কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও রোভার স্কাউট সদস্যরা।
৩০ সেপ্টেম্বর(রবিবার) ‘এ’ ইউনিটের (গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ দিনব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে ভর্তি পরীক্ষায় আটটি ইউনিটে প্রায় ৩ লাখ ৬ হাজার জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলায় রাখার দায়িত্ব পড়েছে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যদের উপর। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার লক্ষ্য সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরা প্রতিদিন টানা ১১ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে। বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ সেবা দিচ্ছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে সিএসই ভবন, রসায়ন ভবন, পদার্থবিজ্ঞান ভবন , গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ, নতুন কলা ও মানবীকি অনুষদ, ও জীব বিজ্ঞান অনুষদে দায়িত্ব পালন করছেন রোভার স্কাউট সদস্যরা। অন্যদিকে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ও বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদ ও পুরনো কলা ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন বিএনসিসি ক্যাডেটরা।
বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটের রোভার মেট (এস.আর.এম) সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘ভর্তিচ্ছুদের সেবায় কাজ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা দিতে এসে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসব শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের গ্রুপের সদস্যরা কাজ করছে। একই সঙ্গে তারা শৃঙ্খলা নিশ্চিত করছে।‘
রোভার স্কাউটের সিনিয়র রোভার মেট (এ.এস.আর.এম) খলিলুর রহমান বলেন, ‘যে কোন পরিস্থিতে আমরা ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলার জন্য বদ্ধপরিকর। তাছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতঙ্গ আমাদেরকে এমন এটকা দায়িত্ব প্রদান করার জন্য।‘
এদিকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, ‘ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে আমরা পরীক্ষার কেন্দ্র খুজে না পাওয়াসহ নানা সমস্যার সম্মখীন হতে হয় আমাদের। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে আমাদের তেমন সমস্যার সম্মখীন হতে হয়নি।এখানে দায়িত্বরত ভাইয়া-আপুরা আমাদের পরীক্ষার কেন্দ্র খুজে দেয়া সহ নানা ভাবে সহযোগিতা করে আসছে।‘