কুষ্টিয়ায় জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক উৎসব

‘সৃজনে উন্নয়নে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসব। রবীন্দ্রনাথ, লালনের স্নৃতিধন্য কুষ্টিয়ায় উৎসবটি সাড়ম্বরের সাথে পালিত হয়েছে।

শক্রবার পৌরসভার মজিবর রহমান মিলনায়তনে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উব্ধোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জনাব হাসান হাবিব, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ, সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম টুকু, বিশিষ্ট কলামিস্ট শেখ গিয়াসউদ্দীন আহমেদ মিন্টু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন বাংলাদেশ শুধু জিডিপিতে নয়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও উন্নতি করছে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ নিছক কোন সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল না, এটি ছিল একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও অংশ।

Post MIddle

আলোচনা শেষে শিল্পকলা একাডেমী, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ ও নজরুল একাডেমীর শিল্পীরা পঞ্চকবির গান পরিবেশন করেন।

শনিবার সমাপণী দিনে লালন একাডেমী মিলনায়তনে সংগীতানুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লালন একাডেমীর শিল্পীরা গানের মাধ্যমে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের  মানবতাবাদ, আধাত্যবাদ ও মরমীবাদের বাণী তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও লালন একাডেমীর প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে দুই দিনের উৎসবে অংশগ্রহনকারী শিল্পীদের সদন বিতরণ করা হয়।

আয়োজনের উভয় দিনে বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট