প্রথম জন্মদিনে স্টামফোর্ড এন্টি ড্রাগ ফোরাম

দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক মাদকবিরোধী সংগঠন স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরামের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী কাজে ভূমিকা রাখায় পাঁচ ক্যাটাগরিতে ‘এসএডিএফ হোয়াইট হার্ড অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।

‘এসএডিএফ হোয়াইট হার্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন মাদকবিরোধী সাহসী কার্যক্রম পরিচালনায় ভূমিকা রাখায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের উপপরিচালক মকুল জ্যোতি চাকমা, সাদা মনের মানুষ হিসেবে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুল আলম, মাদকের বিরুদ্ধে সাহসী সাংবাদিকতায় ভূমিকা রাখায় দৈনিক আমাদের সময়ের ক্রাইম রিপোর্টার হাবিব রহমান, সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় সংগঠন ক্যাটাগরিতে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রাখায় লিডসাস লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলী নকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসক ও পুনর্বাসন) মফিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, স্টামফোর্ডের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ এবং এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ।

এসএডিএফ হোয়াইট হার্ড অ্যাওয়ার্ড’এছাড়া বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ও স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরামের আহ্বায়ক ড. ফারাহনাজ ফিরোজ। আরো বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা  প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, অভিনেতা সিয়াম আহমেদ এবং ফোরামের সভাপতি রাখিল খন্দকার নিশান।

প্রধান অতিথি মফিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা মাদক। বন্ধুদের প্ররোচনায়, কৌতুহলবশত, ব্যক্তিগত হতাশার কারণে অনেকে মাদক গ্রহণ করে। অনেক তরুণ মাদক আসক্ত যখন মাদক সেবনের জন্য পরিবার থেকে টাকা পায় না, তখন তারা টাকার জন্য সমাজবিরোধী অনেক কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশের তরুণদের একটা অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়লেও, তরুণের আরেকটা অংশ মাদকমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়তে কাজ করছে। তার প্রমাণ স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরাম।’

Post MIddle

তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে তোমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাও, সব সময় সব ধরনের সহযোগিতার জন্য মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তোমাদের সঙ্গে থাকবে।’

স্টামফোর্ডের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ বলেন, ‘স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরাম মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করছে। এই ফোরাম তাদের কাজের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে সম্মানজনক ভাবে তুলে ধরছে। স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরামকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

তিনি এই সময় স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরামের জন্য একটি অফিস রুম বরাদ্দের কথাও বলেন।

এসএডিএফ হোয়াইট হার্ড অ্যাওয়ার্ড’স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মুহাম্মাদ আলী নকী বলেন, ” তোমরা নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই সামাজিক আন্দোলনকে ছড়িয়ে দাও পুরো ক্যাম্পাসে।”

স্টামফোর্ড মাদকবিরোধী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাখিল খন্দকার বলেন, ‘স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতা না পেলে আমাদের সংগঠনকে এত দূর নিয়ে আসা সম্ভব হতো না।

এসএডিএফ হোয়াইট হার্ড অ্যাওয়ার্ড’আয়োজন পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের  সঙ্গে আলোচনায় সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী বেনজির আবরার বলেন, ” আমরা সসবাই মিলেই এক, সবার কাছে দোয়া চাই”

অনুষ্টানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গান পরিবেশন করেন বিউটি, পুলক ও তুলি।

পছন্দের আরো পোস্ট