বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ঢাবিতে দিনব্যাপী কর্মসূচী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ ২৫ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার দিনব্যাপী আনন্দ কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা প্রভৃতি।

এ উপলক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ/ বজ্রকণ্ঠ: মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর সহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো: এনামউজ্জামান।

Post MIddle

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিলেন। নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র জাতিতে পরিণত হয়েছিল। ২০ লাখেরও বেশী মানুষ সেদিন রেসকোর্স ময়দানে জড়ো হয়েছিল। সেদিন তিনি কোন লিখিত বক্তব্য দেননি। তাঁর মনের কথাগুলোই সেখানে উচ্চারিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁকে বারবার কারাগারে যেতে হয়েছে। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ভেবে-চিন্তে কথা বলতেন এবং কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতেন না।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের স্বাধীনতার একটি ঐতিহাসিক দলিল সম্পর্কে জানার সুযোগ পেল।

পছন্দের আরো পোস্ট