ইবিতে ‘ব্যবস্থাপনা কৌশল’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, বয়সের কারণে যাদের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ হয়নি দেশমাতৃকা এখন তাদের সামনে। জাগৃতির সময় এসেছে। অর্থনৈতিক মুক্তির ২য় মুক্তিযুদ্ধে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়তে চাই। বর্তমান সরকারের সামনে ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ এবং ভিশন-২০৭৫ রয়েছে। ২০৭৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫টি দেশের একটিতে পরিণত  হওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আমরা যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ-নিজ দায়িত্ব সততার সাথে পালন করি, সমস্ত ঘাটতি কাটিয়ে উঠে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পরিণত হতে পারবো। ১৭৫ একরের এক্ষেত্রকে আমরা একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই।
বাংলাদেশের অসামান্য অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় শরিক হতে চাই।  তিনি বলেন, সততা, মেধা, একনিষ্ঠতা, সর্বোপরি দক্ষতার সাথে কাজ করা শিখতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গেছি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পিছনে যে বিষয়টি কাজ করছে তা আর্থিক ব্যবস্থাপনা। এটি একজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সীমিত আয় এবং অসীম প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয়সাধন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা অগ্রযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ রয়েছে। আমরা যদি দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও একটু সচেতন হই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চমৎকার সুদিন অপেক্ষা করছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে সেল-এর পরিচালক প্রফেসর ড. কে.এম আব্দুস ছোবহান-এর সভাপতিত্বে আজ (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শুরু হওয়া ‘বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কৌশল: আর্থিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
Post MIddle
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও সততার উপর দাঁড়িয়ে বর্তমান প্রশাসন স্বল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক অবকাঠামোগত ও একাডেমিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। দক্ষতা, সততা ও স্বচ্ছতাকে অবলম্বন করে প্রশাসনকে আরও গতিশীল করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অপর বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, রাষ্ট্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে-মাঝে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন আমাদের ভুলগুলি ধরিয়ে দিবে এবং একইসঙ্গে নতুন ধারণা গ্রহণে উজ্জীবিত করবে।
কর্মশালার রিসোর্স পার্সন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, সরকার তথা জনগণের অর্থ সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জনে যেন সফল হতে পারি সে-সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে সম্যক ধারণা তৈরি করা আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার যে কার্যক্রম চলছে তা-তে আর্থিক বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কর্মশালার উদ্বোধনী-পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মোঃ নওয়াব আলী খান।
পছন্দের আরো পোস্ট