আন্তর্জাতিক মাইনসুইর্পাস প্রতিযোগিতায় চুয়েটের তৃতীয় স্থান অর্জন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর রোবটিক চর্চা ও গবেষণাধর্মী সংগঠন ‘মঙ্গল অভিযাত্রিক-৭১’ সম্প্রতি মালেয়শিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘মাইনসুইর্পাস : টুওয়ার্ডস ল্যান্ডমাইন-ফ্রি ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল কমপিটিশন-২০১৭’ তে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই) রোবটিক এন্ড অটোমেশন সোসাইটির আয়োজনে গত ২৭ অক্টোবর, ২০১৭ খ্রি. মালেয়শিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে উক্ত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাডেমিয়া ক্যাটাগরিতে চুয়েটের অংশগ্রহণকারী দল তৃতীয় স্থান অর্জন করে। পুরষ্কার হিসেবে ‘মঙ্গল অভিযাত্রিক-৭১’ টিম ২০০ মার্কিন ডলার লাভ করেন। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৭ টি দেশ থেকে বাছাইকৃত মোট ১৯ টি দল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

এদিকে গতকাল ০৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার), ২০১৭ খ্রি. চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সাথে বিজয়ী দলের সদস্যরা উপাচার্য কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘মঙ্গল অভিযাত্রিক-৭১’ টিমের সুপারভাইজর ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন (পিএন্ডডি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী প্রমুখ।

Post MIddle

বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন- ‘১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী যন্ত্রকৌশল বিভাগের মাইনুল হাসান (দলনেতা) ও আমানুল রিয়াদ, ‘১৪ ব্যাচের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের জাবের আল হাসান অয়ন, অঞ্জন হালদার ও শিমন মেহজাবীন, ‘১৫ ব্যাচের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের জাহিদুস সেলিম বাঁধন, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ইকরামুল হাসান ও সাদমান সারার অপল এবং ‘১৬ ব্যাচের ইইই বিভাগের তিহাস ফায়াজ ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের ইমামুল আলম ইশাত।

প্রসঙ্গত, ধ্বংসাত্মক মাইন (স্থলযুদ্ধে ব্যবহৃত যুদ্ধাস্ত্র) মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় এমন একটি রোবট বানানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়, যেটা একইসাথে ভূমিতে পুঁতে রাখা (বারীড) মাইন এবং ভূ-পৃষ্ঠের উপরে স্থাপন করা (সারফেস) মাইনের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। যার মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে পৃথিবীবাসীকে সুরক্ষা প্রদান করা সম্ভব হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট