তীব্র খাবার সংকটে নোবিপ্রবি আবাসিক শিক্ষার্থীরা

৫ নভেম্বরের স্থানীয়দের সাথে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাস অচল অবস্থায় রয়েছে। অফিসিয়াল ভাবে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা না করলেও প্রায় বেশীরভাগ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে । এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের টং এর দোকান গুলো বন্ধ থাকায়  আবাসিক হল গুলোতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে । ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বাজারে যেতে না পারায় এই তীব্র খাদ্য সংকটের দেখা দিয়েছে।  ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল, আব্দুল মালেক উকিল হল, বিবি খাদিজা হলের একাদিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরের এলাকা সহ ক্যাম্পাসের ভিতর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে । ক্যাম্পাসের বাইরে বের হলেই স্থানীয়দের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন । এদিকে ক্যাম্পাসের পাশে মেসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “ক্যাম্পাসের পাশের সবগুলো মেসে স্থানীয়রা কিছুক্ষণ পরপর এসে হুমকি দিচ্ছে । মেস থেকে বের হতে নিষেধ করছে । মেসের আশেপাশের সব গুলো দোকানপাট তারা বন্ধ করে দিয়েছে”।  মেস থেকে বের হয়ে বাজার করতে না পারায় তাঁরা তীব্র খাবার সংকটে গত দুইদিন ধরে এক অসহায় জীবন যাপন করছেন । এদিকে রাস্তায় বের হলেই স্থানীয়দের লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন বলেও কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন । এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় । এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও তাঁরা জানান ।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপাচার্য স্যার ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় এতদিন  কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো সম্ভব হয়নি । ওনি আজ ক্যাম্পাসে আসছেন খুব দ্রুত এর সমাধান করা হবে।

Post MIddle

সুধারাম থানার অফিসার ইন চার্জ জনাব আনোয়ার হোসেন জানান, কোন পক্ষ থেকেই এখনো কোন মামলা করা হয় নি । তবে ক্যাম্পাসে যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে । ক্যাম্পাসের বাস পুলিশ নিরাপত্তায় চলাচল করছে। উপাচার্যের সাথে কথা হয়েছে ওনি সহ স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে কথা বলে স্থানীয়দের সাথে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করা হচ্ছেও বলে তিনি জানান ।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা চালায় এবং স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে । এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সহ প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন ।

পছন্দের আরো পোস্ট