হাবিপ্রবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

আজ (১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কালো ব্যাচ ধারণ করেন।

এরপর এক বিশাল শোক র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহীআত্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন- বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শিক্ষক সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা, প্রগতিশীল কর্মচারী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন।

এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. এস.এম. হারুন-উর-রশীদ এর সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম।

Post MIddle

‘বঙ্গবন্ধ হত্যা: তৎকালীন ও পরবর্তী রাজনৈতিক গতি প্রকৃতি’ শিরোনামের উপর মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন উক্ত বিদবসের মুখ্য আলোচক বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর প্রফেসর ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী। প্রফেসর ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্যস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখনই একটি কুচক্রিমহল দেশী বিদেশী মদদে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সম্মৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পরিনত হত।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবি’র ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফা তারেক চৌধুরী, মমিনুল হক রাব্বী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম

 

জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত বাদ যোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিকাল ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শণ নিয়ে ডকুমেন্টরী ফিল্ম প্রদর্শণ করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট