সোমালিয়ায় ব্যতিক্রমী গ্রন্থাগার

লাইব্রেরি বলতে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সারি সারি বই। তবে এ ধারণা বদলে দিচ্ছে হিউম্যান লাইব্রেরি বা মানব গ্রন্থাগার। বই নয়, মানব গ্রন্থাগারে মানুষ পড়বে মানুষের অভিজ্ঞতা। বিশেষ আয়োজনে জড়ো হয়ে ভাগ করে নেবে নিজেদের গল্প ও জ্ঞান।

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করলো দেশটির প্রথম মানব গ্রন্থাগার। এ কার্যক্রমে বইয়ের পরিবর্তে পাঠকরা ধার করতে পারবেন নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বিভিন্ন ব্যক্তিকে। এসব স্বেচ্ছাসেবক পরিচিত মানব পুস্তক নামে। এখানকার ১৩০ জনের বেশি পাঠকের জন্য এসেছেন ছয় জন মানব পুস্তক। কয়েকদিনের জন্য জড়ো হয়ে তারা শেয়ার করবেন নিজেদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান।

Post MIddle

সিমাদ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের প্রধান মোহাম্মদ মোয়াম্মাদ সিয়াদ বলেন, ” জাতিগত কুসংস্কার এবং বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জে সহায়তা করতে, স্বেচ্ছাসেবিরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন। এছাড়াও ধর্ম, পেশা, সামাজিক অবস্থান, লিঙ্গ, বর্ন, ক্ষমতা, স্বাস্থ্য এবং মতাদর্শ ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়ে থাকে।”

জীবন্ত বইয়ের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পেরে বেশ খুশি বলে জানিয়েছেন আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা। অংশগ্রহণকারীদের একজন বলেন, “এ গ্রন্থাগারে স্কলার, পিএইচডি ডিগ্রিধারীসহ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবো। আমরা তাদের জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারি। তারা তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। এ থেকে আমরা উপকৃত হবো।”

দুই হাজার সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে রোনি অ্যাবেগেইল নামের এক ব্যক্তি প্রথম মানব গ্রন্থাগারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো সামাজিক পরিবর্তন আনা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সংলাপ চালু করা। প্রথম মানব গ্রন্থাগার সফল হওয়ায় বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় ৮০টিরও বেশি গ্রন্থাগার কার্যক্রম চালু আছে।

পছন্দের আরো পোস্ট