মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী ও ময়মনসিংহ সদরের এমপি বেগম রওশন এরশাদ বলেন, জনগণের দাবীকে অগ্রাধিকার দিয়ে ময়মনসিংহকে বিভাগ করেছি। এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে এবং তার জন্য সকল প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি। হাতপাতালে রোগীরা এসে সু-চিকিৎসা পাচ্ছে-এটা জেনে খুবই খুশী হয়েছি। শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন এবং ব্যবস্থাপনা কমিটি সভায় হাসপাতালের পরিচালক ও ডাক্তারদের সাথে মতবিনিময় কালে তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি এ আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় কালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাছির উদ্দিন আহাম্মদ, মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আ.ন.ম ফজলুল হক পাঠান, বিএমএ সভাপতি ডা: মতিউর রহমান,বিশিষ্ট চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. কে.আর.ইসলাম, এডিশনাল এসপি সীমা রানী সরকার ও এডিএম বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা হাসপাতালের পরিচালনায় সুন্দর ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে এবং ময়মনসিংহ এস.কে হাসপাতালকে জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, আই সি ইউ এর জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ, ২টি পুরাতন ভবনের সংস্কার, ৩টি নতুন ভবন নির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেল সমস্যার সমাধন, জনবল সংকট, ডায়ালাইসিস মেশিন সরবরাহ, এমআই মেশিন সরবরাহ, ক্যাথ টেব সরবরাহ এবং ৫০০ বেডের হাসপাতালকে ১০০০ বেডে উন্নীত সহ মাসকান্দায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পার্ট-২ ভবন নির্মাণের দাবী জানান।

Post MIddle

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যরা ৫৮ বৎসর আগে নির্মিত হাসপাতাল ভবন নির্মাণেল পর এর সংস্কার না করায় নানা স্থানে ফাটল ধরার কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের জন্য একটি কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠনের কথা তুলে ধরেন বক্তারা।

মতবিনিময় কালে বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেন, এ অঞ্চলে আড়াই কোটি লোক বাস করে। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে হাসপাতালের উ্ন্নয়নে যা যা করার তাই করবো। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আমি নিজে গিয়ে দেখা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

হাসপাতালের পরিচালকের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি ডিফেন্সের লোক। সুতরাং হাসপাতাল সু শৃঙ্খলভাবে চলবে-এটাই স্বাভাবিক। আমি জানি বাইরে ডায়ালাইসিস করতে ৫/৬ হাজার টাকা লাগে । হাসপাতালে এ সুবিধা থাকলে ৭/৮শ টাকায় করা যেত। আপনারা হাসপাতালের জণ্য কি কি প্রয়োজন আমাকে লিখিত আকারে তালিকা দেন। আমি এলাকাবাসীর জন্য এসব সরঞ্জাম যোগার করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে যাবো।

হাসপাতালের পরিচালককে একটি মহল বদলী করার চেষ্টা করছে- এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দেশে দূর্যোগ হলে সেনা পাঠিয়ে সমস্যার মোকাবেলা করে সরকার। আপনাকে এখানে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের সমস্যা মোকাবেলার জন্য। ভয়ের কিছু নেই। আমরা পাশে আছি।

পছন্দের আরো পোস্ট