ইউনিভার্সিটি সেইন্স ইসলাম এর সাথে কাজ করবে ড্যাফোডিল

উদ্যোক্তা উন্নয়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সেইন্স ইসলাম মালয়েশিয়ার (ইউএসআইএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হোপ (হ্যান্ডস অন প্রোগ্রাম ফর এন্ট্রাপ্রেনারশিপ) এখন থেকে একযোগে কাজ করবে। গত ২০ জুলাই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান হোপ পরিদর্শনকালে ঊভয় প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে একমত হন।

পরিদর্শনকালে ইউএসআইএম-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর তান স্যারি দ্যাতো ডিজুলকিফলি আব্দুল রাজ্জাক, উপাচার্য প্রফেসর দ্যাতো ড. মুসা আহমেদ, প্রফেসর দ্যাতো ড. জুলকিফলি আব্দুল গনি, ডেপুটি উপাচার্য (একাডেমিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল), প্রফেসর ড. রোসাদা হাশিম, ডেপুটি উপাচার্য (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন) এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মোঃ সবুর খানকে স্বাগত জানান।

পরিদর্শনকালে ডিআইইউ চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান ইউএসআইএম কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হোন এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে কীভাবে ডিআইইউ ও ইউএসআইএম একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপন্থাপন করেন। বৈঠকে ডিআইইউ ও ইউএসআইএম-এর মধ্যে সামার প্রোগ্রাম, আল কোরান গবেষণা কেন্দ্র, মো. সবুর খান রচিত ‘এ জার্নি টুওয়ার্ডস এন্ট্রাপ্রেনারশিপ’ বইয়ের মালয় ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশনা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময় প্রকল্প ইত্যাদি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Post MIddle

উদ্যোক্তা উন্নয়নে একাডেমী-শিল্পকারখানার সম্পৃক্ততা ও সংযোগ বিস্তৃত করতে ‘হোপ’ সুযোগ তৈরি করবে বলে সবুর খান আশা প্রকাশ করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হোপ-এর পাঠ্যক্রম এমনভাবে তৈরি যেখানে এক দশকের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিল্পোদ্যোক্তা, মানবসম্পদ প্রশিক্ষক ও গবেষকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তত্ত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

উদ্যোক্তা বিষয়ে আরও বেশি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে বর্তমান সময়ে হোপ-এর এই পাঠ্যক্রম বাস্তবায়ন করা খুবই প্রাসঙ্গিক ও যুক্তিযুক্ত বলে সবুর খান মনে করেন। কারণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে হোপ শতকরা ৮০ ভাগ বাস্তব উপকরণ ও ২০ ভাগ তাত্ত্বিক উপকরণ ব্যবহার করে থাকে। শিক্ষার্থীদের ফলাফল নির্ধারণ করা হয় শিল্পভিত্তিক দক্ষতার উপর যেখানে ১২টি মানদ- রয়েছে কি রেজাল্ট এরিয়া (কেআরএ) এবং ৮টি মানদ- রয়েছে বিহেভিরিয়াল কম্পিটেন্স (বিসি)-এর উপর।

সবুর খান আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ও ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি আশাব্যাঞ্জক বিষয় যে, হোপ-এর মতো একটি আন্তর্জাতিকমানের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা ও গতিকে আরো বেশী ত্বরান্বিত করতে পারবে।

ইউনিভার্সিটি সেইন্স ইসলাম

পছন্দের আরো পোস্ট