কি আছে জাবি প্রেস ক্লাবের স্মারকলিপিতে ?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সুনাম নষ্টকারী এবং প্রতারণা করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার চেষ্টাকারীদের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ওই সংগঠনের একাংশ।রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ে তারা এক স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাবি প্রেসক্লাব নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই সংগঠনটিকে কলুষিত করেছে। যার নেপথ্যে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দখলের কারণকেই উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, নিজের পক্ষের ভোটার বাড়িয়ে নির্বাচনে জেতার জন্য মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানজিদ বসুনিয়া সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য হওয়ার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেনি এমন অন্তত ১৫ জনকে অবৈধভাবে সদস্য বানায়। যার মধ্যে এমন কয়েকজন আছে যারা জীবনের কখনও কোন পত্রিকায় কাজ করেনি। এ নিয়ে জাবি প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য মো. মুসা প্রতিবাদ করেন। যার কারণে পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ ছাপানো হয়।

এমনকি এ বিষয়ে কথা বললে নির্বাচন কমিশনার সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইনকে (না জানিয়ে বা কোন প্রকার নোটিস ছাড়াই) বাদ দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল ইসলামকে (শামীম রেজা) নতুন নির্বাচন কমিশনার করা হয়।

Post MIddle

এদিকে ছাত্রত্ব জীবন শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ১ মাসের মধ্যে যার কারণে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তরিঘড়ি একদিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র উত্তোলন, মনোনয়নপত্র জমাদান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসহ নির্বাচনী সকল কাজ শেষ করেন বসনিয়া। ভোটার তালিকা সংশোধন না করে একদিন পরেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা করেন তিনি।

যা জাবি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে ৪৮ ঘন্টা আগে ঘোষণা করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী এই সংগঠনের মানহানি করে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, গঠনতন্ত্র অবমাননা করে অবৈধ উপায়ে নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথাও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে সুষ্ট সমাধানের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেছি। আলোচনা করে এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট