বিয়ে নয় লেখাপড়া করতে চেয়েছিল মেয়েটি

Post MIddle

মেয়েটি লেখাপড়া করতে চেয়েছিল। আর অভিভাবকেরা তাকে বিয়ে দিতে পীড়াপীড়ি করছিলেন। ছেলেপক্ষের লোকজন তাকে দেখে পছন্দও করে যান। সে নবম শ্রেণিতে পড়ে, এখন বিয়ে করবে না বলে অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়েছিল। গতকাল সোমবার ছেলেকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মেয়েপক্ষের। কিন্তু সকালে জানা গেল, মার্জিয়া সুলতানা নামের মেয়েটি ‘আত্মহত্যা’ করেছে।

ঘটনাটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দেবীসাউল গ্রামের। প্রতিবেশীরা জানান, সে উপজেলার রায়কালী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। কাল সকালে ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মার্জিয়ার পরিবার বিয়ের উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বলছে, আত্মহত্যার কারণ তারা জানে না।

মেয়েটির মা রোজিনা বেগম জানান, সকাল ছয়টার দিকে মার্জিয়া ঘুম থেকে উঠে খেতে চায়। এরপর কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক হাঁটাহাঁটি করে নিজের ঘরে চলে যায়। ঘণ্টা দুয়েক পরে ডাকতে গিয়ে দেখা যায় দরজা বন্ধ। দরজা ভাঙার পর ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মার্জিয়াকে।

মার্জিয়ার বাবা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মার্জিয়ার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। আজকে (গতকাল) ছেলে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। কী কারণে সে আত্মহত্যা করল, তা আমরা কেউই জানি না।’ সকালে মেয়েটির মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাদের বাড়িতে ভিড় করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা এর বিরোধিতা করে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। পরে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।

ওসি বলেন, মেয়েটির বিয়ের কথাবার্তা চলছিল বলে জানা গেছে। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সুত্র:প্রথম আলো

পছন্দের আরো পোস্ট