প্রথম সমাবর্তনের বর্নিল সাজে জাককানইবি

ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেলা আড়াইটায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আল। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিবেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম এই সমাবর্তনে ১হাজার ৩৯৯ জনকে গ্র্যাজুয়েটদের কে সমাবর্তন দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ ২৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩২ টি স্বর্ণপদক তুলে দিবেন।

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সমাবর্তনের সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মনোরম সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। সমাবর্তন এলাকা, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, হলসমূহ, রাস্তাসহ প্রবেশদ্বারে আগে থেকেই আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সড়ক, গাছপালা গায়ে শিল্পীর তুলির ছোঁয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য  অন্যরকম দিন। গতকাল সোমবার থেকেই গ্র্যাজুয়েটপ্রাপ্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছেন। ক্যাম্পাস যেন নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

Post MIddle

জাককানইবিকবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তার স্মরণে কবি নজরুলের স্মৃতি বিজরিত বটতলাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়। কবি নজরুল ছোট বেলায় এই বটগাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাতেন। কবি ত্রিশালের দরিরামপুর হাই স্কুলে পড়াশুনা করতেন। ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ৪৭ একর জমির ওপর ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের নিমিত্তে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্যে একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের ১লা মার্চ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৭ এর ২৫ মার্চ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে বেগম খালেদা জিয়া দুটি অনুষদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং ৩ জুন ২০০৭ এ প্রথম ব্যচের ক্লাস শুরু হয়। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। প্রথম ব্যাচে কলা অনুষদের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ১৮৫ জন ছাত্র ভর্তি হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায়  হাজার ৫ হাজার ৫ শত ৪৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি বিভাগে শিক্ষক রয়েছেন ১৪৫ জন।

পছন্দের আরো পোস্ট