প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৭ হাজার সরকারি প্রাইমারি স্কুল

দেশের ১৭ হাজারের বেশি সরকারি প্রাইমারি স্কুল চলছে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই। ফলে এসব স্কুল যথাযথভাবে চলছে না। নিয়মিত পাঠদান হচ্ছে না।১৯ মার্চ রোববার ‘প্রধান শিক্ষক নেই ১৭ হাজার স্কুলে’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার মান উন্নয়নে কার্যত কোনো পদক্ষেপও নেই ওইসব স্কুলগুলোতে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে তাকে প্রশাসনিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এতে স্কুলগুলোতে নানামুখী সমস্যা তৈরি হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোতে একজন সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এ কারণে তিনি প্রতিদিন ৫০ টাকা ভাতা পেতেন। ২০১৩ সালে এসব বেসরকারি স্কুল সরকারি হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ বিলুপ্ত হয়। একই সঙ্গে ৫০ টাকা ভাতা বন্ধ করে দেয় মন্ত্রণালয়। এসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মধ্যে যাদের যোগ্যতা ছিল তাদের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

Post MIddle

কিন্তু যে সব স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের যোগ্যতা নেই, সে সব স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকে। তবে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও কোনো ভাতা পান না। এছাড়া পুরনো সরকারি স্কুলগুলোতেও অসংখ্য পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিনিয়তই শিক্ষকরা অবসরে যাচ্ছেন। ফলে প্রধান শিক্ষক বিহীন স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

সূত্র জানায়, আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির নন-গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। নানা জটিলতার কারণে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমেও এ পদে নিয়োগ দেওয়া বন্ধ থাকে।

তথ্য অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের আগস্ট মাসে ৩৪তম বিসিএস থেকে ৮৯৮ জনকে সুপারিশ করা হয়। এই নিয়োগের পর শিক্ষক সংকট কিছুটা কমবে। মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ  করে যাচ্ছে, পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করা হবে। প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ শতকরা ৩৫ ভাগ সরাসরি এবং ৬৫ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট