সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির দুইযুগ পূর্তি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা ছাএ কল্যান সমিতির দুইযুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাএ কল্যান সমিতির দুইযুগ পূর্তি অনুষ্ঠানটি বহুমাএিক। অনুষ্ঠানে অনেক বিষয়ের সম্ভার আছে যেমন ম্যনগ্রোভ নামে একটি চমৎকার প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন তেমনই আছে বার্ষিক জেলা ক্যালেন্ডার উদ্ভোধন এবং নবীনদের বরন ও প্রবীনদের বিদায়।

Post MIddle

সাতক্ষীরা জেলা ছাএ কল্যান সমিতির সভাপতি, দৈনিক যুগান্তরের ইবি প্রতিনিধি ও ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী আরো বলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রকৃতির অপার লিলাভুমি এর একদিকে বঙ্গোপসাগর অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভবন সুন্দরবন যা এ জেলার মানুষের আচার আচারন ও কৃষ্ঠি কালচারের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন প্রতিটি জেলার মধ্যে এগিয়ে যাবার প্রতিযোগীতা থাকবে যা হবে অহিংস বন্ধুসুলভ প্রতিযোগীতামুলক তাতে করে অহিংস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধ’ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। তাই অগ্নিঝরা মার্চ মাসের শপথ হওয়া উচিত মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্বপ্ন পুরন করা। এখানে কোন রকম সংকীর্নতা যেন আমাদের গ্রাস না করে।

তিনি আরো বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের অনিয়ম, দূনীতি, স্বজনপ্রীতি, পরীক্ষার প্রশ্নপএ ফাঁস ও আঞ্চলিকতাকে প্রশয় দেয়া হবে না হবে মেধার মুল্যায়ন। প্রকৃত মেধাবীরাই এখানে নেতৃত্ব দেবে। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন জীবন একটি যুদ্ধক্ষেএ। এখানে প্রতিটি মুহূর্তে যুদ্ধ করে মেধার পরিচয় দিয়ে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে হয়। তিনি বলেন সুপ্ত প্রতিভার বিকাশের জন্য পরিপূর্ন শ্রম দিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবারই ঠিক তেমনি জেলা যারই হোকনা কেন কল্যান যেন আমাদের সকলেরই হয়।

তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিটি জেলার ছাএকল্যান সমিতি কার্যক্রম যদি বিস্তৃত হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যান হবে। ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন সাতক্ষীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে তবে সাতক্ষীরায় যাবার সুয়োগ আমার জীবনে হাতে গোনা দুয়েকবার হয়েছে।

এ বছর সাতক্ষীরা জেলা হতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ পেয়েছে। সেই ভর্তির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা ছাএকল্যান সমিতির প্রধান উপদেষ্ঠা প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান, প্রফেসর ড. আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. আশরাফুল আলম, সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহিনুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার রাশিদুজ্জামান খান টুটুল এবং নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাইম হোসেন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোজাহেদুল আলম প্রমুখ। উল্লেখ্য যে এবার বিশ্ববিদ্যালয হতে ৪০ জন শিক্ষার্থী বিদায় নিচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলায় আলোকিত মানুষ সাংবাদিক আবেদ খান, সেকেন্দার আবু জাফর, পৃথিবী বিখ্যাত কার্টার মাস্টার ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান, সোম্য সরকারসহ আরো অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিত্বের জন্ম। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত চলচ্চিএ প্রদর্শিত হয়।#

পছন্দের আরো পোস্ট