ঢাবিতে ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপিত

‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষে আজ (২ মার্চ ২০১৭) বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার মো. এনামউজ্জামান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

Post MIddle

জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে প্রদত্ত বক্তব্যে প্রথমেই উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে এবং তৎকালীন ছাত্র নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে কলাভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়, যা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস ছিল। এই সময়ই বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। অসহযোগ আন্দোলন এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির বাসভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।

নতুন প্রজন্মের কাছে সেই সময়কার অনুভূতি তুলে ধরে উপাচার্য বলেন যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, এখনও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় তাদের চোখে পানি চলে আসে। জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সবার নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমান প্রজন্ম যেমন নতুন প্রজন্মের কাছে তেমনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম প্রজন্মের পর প্রজন্ম ৭১ এর চেতনা পৌঁছে দিতে হবে ভবিষ্যতের নাগরিকদের কাছে।

নতুন প্রজন্ম এই চেতনা বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে উদ্বুদ্ধ হবে। ৭১ এ সাড়ে সাত কোটি বাঙালী যেভাবে সংঘবদ্ধ হয়েছিল আজও দেশমাতৃকার স্বার্থে তারা সেভাবেই সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে। তাহলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

পছন্দের আরো পোস্ট